মোট আক্রান্তের নিরিখে ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় এখন দ্বিতীয় স্থানে ভারত। তবে গত কয়েক দিন ধরেই কমছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আবার গত ১২ দিন ধরে দৈনিক মৃত্যুও হচ্ছে হাজারের কম। সংক্রমণের হারও ৬-৭ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬৭ হাজার ৭০৮ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে দেশে মোট আক্রান্ত বেড়ে হল ৭৩ লক্ষ ৭ হাজার ৯৭ জন। পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার হয়েছে ৫.৯৬ শতাংশ।
আক্রান্তের নিরিখে প্রথম থেকেই দেশের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এখনও অবধি ১৫ লক্ষ ৫৪ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। যদিও দৈনিক সংক্রমণ সেখানে আগের থেকে অনেক কম। অন্ধ্রপ্রদেশ ৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ও কর্ণাটকে ৭ লক্ষ ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তামিলনাড়ুতে সংখ্যাটা ৬ লক্ষ ৭০ হাজার। ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার আক্রান্ত নিয়ে দেশের পঞ্চম স্থানে উত্তরপ্রদেশ। তার পরই রয়েছে দিল্লী। সেখানে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ১৭ হাজার। শুরুর ঝটকা সামলে নিলেও ওনামের পর থেকেই কেরলে দৈনিক আক্রান্ত লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। যার জেরে সেখানে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ১০ হাজারে পৌঁছেছে। উড়িষ্যা ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ও তেলেঙ্গানাতে ২ লক্ষ ১৭ হাজার জন এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন। বিহারে মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ পেরলো। আসামে ২ লক্ষ ছুঁইছুঁই।
অন্যদিকে, ভারতে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮০ জন মারা গিয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১ লক্ষ ১১ হাজার ২৬৬ জনের প্রাণহানি ঘটল। তার মধ্যে ৪০ হাজার ৮৫৯ জন মারা গিয়েছেন মহারাষ্ট্রে। তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকে মোট মৃত্যু ১০ হাজার পেরিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যু সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে বাড়ছে। দিল্লীতেও সংখ্যাটা সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি। তবে দেশে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটা আশাব্যঞ্জক। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৬৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৪১ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ দেশের মোট আক্রান্তের ৮৭.৩৬ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৮১ হাজার ৫১৪ জন। গত কয়েক দিনে নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কমতে কমতে তা এখন ৮ লক্ষ ১২ হাজার ৩৯০।