রাজ্য সরকারের টাকায় আর কোরান পড়ানো চলবে না। এমনকি বন্ধ করে দেওয়া হবে সরকার পরিচালিত সমস্ত মাদ্রাসা। দিনকয়েক আগে এমনই মন্তব্য করেছিলেন আসামের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। আজ আবার ওই বিষয়ে সরব হলেন তিনি। হিমন্তের কথায়, “সরকারের টাকায় যদি কোরান শিক্ষা দিতে হয়, তাহলে ভগবত গীতাও শিক্ষা দেওয়া উচিৎ। তাই আমরা ঠিক করেছি, সরকারি টাকায় কোরান পড়ানো বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
এদিন একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে আসার শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, “সরকারি অর্থে কোনও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে দেওয়া হবে না। নভেম্বরেই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে সরকার।” তবে, বেসরকারি মাদ্রাসার ক্ষেত্রে আসাম সরকারের কোনও আপত্তি নেই বলেই এদিন জানিয়েছেন আসামের শিক্ষামন্ত্রী। হিমন্ত বিশ্বশর্মা অবশ্য জানিয়েছেন, সরকারি সমস্ত মাদ্রাসাকে সরকারি স্কুলে পরিবর্তিন করা হবে। খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, আসামে বর্তমানে ৬১৪টি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসা রয়েছে। এদের মধ্যে ৩টি রয়েছে ছেলেদের আর ৫৭টি মেয়েদের। বাকি সমস্তগুলিই কো-এড। আসামের শিক্ষামন্ত্রীর অবশ্য আরও অভিযোগ, রাজ্যের বহু মুসলিম যুবক হিন্দু মেয়েদের বোকা বানিয়ে তাঁদের বিয়ে করে। বিশ্বশর্মার মতে, এই বিয়ে বৈধ নয়, বরং তা বেইমানির সমান। হিমন্তের মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণার পরই অবশ্য এআইইউডিএফ সুপ্রিমো এবং লোকসভার সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বিজেপি সরকার সেই মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করলে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে এসে সেগুলি আবারও খুলবে তাঁর দল।