জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে যদি কোনও সর্বসম্মতি না হয়, তাহলে ক্ষতিপূরণের ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে বাংলা-সহ ৯ বিরোধী শাসিত রাজ্য। ক্ষতিপূরণ নিয়ে কেন্দ্র যে দুটি বিকল্প দিয়েছে কোনওটাই পছন্দ নয় এই রাজ্যদের। তাদের দাবি, কেন্দ্র ধার নিয়ে রাজ্যদের প্রাপ্য টাকা মেটাক। অন্যদিকে কেন্দ্র বলছে রাজ্যরা ধার নিক, জিএসটি সেস থেকে সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়া হোক। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে যে রাজ্যগুলি, তার মধ্যে অন্যতম হল বাংলা।
লাগাতার দুই সপ্তাহের কাউন্সিলের বৈঠকে ২.৩৫ লক্ষ কোটির রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে কোনও মীমাংশা হয়নি। তবে বিজেপি সহ সমমনোভাবাপন্ন দলগুলি যে সব রাজ্যে ক্ষমতায় আছে, তারা কেন্দ্রের দেওয়া প্রথম বিকল্পটি মেনে নিয়েছে। প্রাথমিক বিকল্প হল ১.১ লক্ষ কোটি টাকা বাজার ধার করবে রাজ্যরা, টাকা মিটিয়ে দেবে কেন্দ্র।
বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র সবচেয়ে আগে কেন্দ্রের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি মঙ্গলবার এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে পরবর্তী পদক্ষেপ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঠিক করা হবে। অমিত মিত্র আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পথ খোলা আছে। কেন্দ্র-রাজ্যের সম্পর্ক মোদী সরকার নিজেদের সংখ্যার জোরে নষ্ট করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন অমিত মিত্র।
কেরালার অর্থমন্ত্রী টমাস আইস্যাক বলেন কেন্দ্র যদি জোর করতে যায়, তারা সুপ্রিম কোর্টে যেতে প্রস্তুত। আইস্যাক বলেন, কেন্দ্র বিশ্বাসঘাতকতা করছে, নিজেদের কথার খেলাপ করছে। একই সুরে বলেন ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড়, পাঞ্জাব ও দিল্লীর অর্থমন্ত্রী। সবারই কথা বিপদের সময় হাত ছেড়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত বাদল বলেন যে জিএসটি কাঠামোতে বড় আঘাত আসছে। আইন অনুযায়ী রাজ্যদের ক্ষতিপূরণ দিতে কেন্দ্র বাধ্য, এটা বদল করা যায় না, বলে তাঁর দাবি। এই বিষয় ভোটাভুটির প্রশ্নও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তেলেঙ্গানাও অন্যান্য বিরোধী রাজ্যদের মতো আদালতে যাবে কিনা, সেটা মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর ঠিক করবে বলে জানান রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।