তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন উত্তরপ্রদেশের আইন কলেজের ছাত্রী। ২৩ বছরের ওই তরুণীর অভিযোগ ছিল, গত এক বছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেছেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দ। ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট সেই ঘটনার কথা সামনে আনেন তিনি। কিন্তু একবছরের মধ্যে ভোলবদল করে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলেন উত্তরপ্রদেশের শাহাজাহানপুর-এর সেই আইনের ছাত্রী। এর জেরে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য রাজনীতিতে। প্রবল চাপের কাছে নতিস্বীকার ওই যুবতী এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এদিকে এই ঘটনার জেরে আদালতের কাছে ওই যুবতীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।
মঙ্গলবার এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশে গঠিত লখনউয়ের বিশেষ আদালতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দ-এর বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের মামলার শুনানি ছিল। সেখানে নিজের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন ওই যুবতী। নিজের পুরনো অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ ভোলবদল করে জানান, প্রাক্তন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে তিনি যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের কোনও অভিযোগই করেননি। তাঁর এই কথা শোনার পরেই সরকারি আইনজীবীরা মিথ্যা অভিযোগ করার জেরে আদালতের কাছে ওই যুবতীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪০ ধারায় মামলা শুরুর আবেদন জানিয়েছেন। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর লখনউয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক পিকে রাই ওই যুবতীর বক্তব্য নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এর একটি করে কপি ওই ছাত্রী এবং অভিযুক্ত স্বামী চিন্ময়ানন্দের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ অর্থাৎ বুধবার ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।