সপ্তাহ দুয়েক আগেই দিল্লীর সফদর জং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তির হাতে গণধর্ষণের শিকার হওয়া হাথরসের দলিত মহিলা। যা নিয়ে এখনও তোলপাড় গোটা দেশ। প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশের নারী সুরক্ষা। তবে তাতেও থেমে নেই যোগী রাজ্যে লজ্জা। এবার ফের এক শিউরে ওঠার মত খবর প্রকাশ্যে এল উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট জেলা থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, এক দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার আত্মঘাতী হয়েছে ওই নাবালিকা। পরিবার জানিয়েছে, স্থানীয় একটি নার্সারির সামনে থেকে মেয়কে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন তারা। তবে অপমান-লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরেই এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে।
চিত্রকূট জেলার কোতওয়ালির অন্তর্গত কৌমরাহা কা পূর্বা নামের একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের অভিযোগ, গত ৮ অক্টোবর বাড়ির কাছেই মাঠে গিয়েছিল ওই কিশোরী। সেই সময় ওই তিন যুবক তাকে অপহরণ করে। তারপর জনশূন্য নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে দীর্ঘক্ষণ ধরে ধর্ষণ করে তিনজনই। এরপর স্থানীয় একটি নার্সারির সামনে হাত-পা বেঁধে তাকে ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা। পুলিশকে কিশোরীর মা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন অপহরণের পর মোটরবাইকে করে কিশোরীকে নির্জন একটি এলাকায় নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। মেয়েকে উদ্ধারের পর বারবার ওই তিন যুবকের পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এমন নৃশংস ঘটনা শিশুমনে এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যে কিছুই জবাব দিতে পারেনি নির্যাতিতা কিশোরী।
পুলিশেও খবর দিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু অভিযুক্তদের ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি কেউই। এমনকি কিশোরীর বয়ানও নিতে পারেনি পুলিশ। কারণ এই ঘটনায় সাংঘাতিক ভাবে মানসিক আঘাত পেয়েছিল সে। গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণ হয়েছিল কিশোরীর। অভিযোগ পেয়ে তদন্তও শুরু করেছিল পুলিশ। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মঙ্গলবার আত্মঘাতী হয়েছে নির্যাতিতা। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। চিত্রকূট জেলার এএসপি প্রকাশ স্বরূপ পাণ্ডে জানিয়েছেন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেছে ওই কিশোরী। ধর্ষণের কারণেই ওই কিশোরী আত্মঘাতী হয়েছে কিনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।