বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির। এর আগে তাদের তৈরি ‘করোনিল’কে করোনা সারানোর আয়ুর্বেদিক ওষুধ বলে দাবি করে আইনি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল তারা। এবার দূষণ সংক্রান্ত নিয়মভঙ্গ করায় বিপাকে পতঞ্জলি। বাবা রামদেবের সংস্থার পাশাপাশি একই অভিযোগ ই–কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধেও। এই দুই সংস্থাকেই নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ। প্লাস্টিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ (সংশোধিত) ২০১৮, আইনের ধারাগুলি মেনে না চলার কারণেই দুই সংস্থাক্ব শো–কজের নোটিসটি পাঠানো হয়েছে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল বা এনজিটি–কে একথা জানিয়েছে সিপিসিবি। শুধু তাই নয়, এই দুই সংস্থার নাম এখনও কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদে নথিবদ্ধ করা নেই। তাই কেন ভারতে তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করা হবে না, এই প্রশ্নও করা হয়েছে ওই নোটিসে।
ওই নোটিসে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ আরও জানিয়েছে, শুধু পতঞ্জলির পেয়া বা ফ্লিপকার্ট নয়, নিয়ম ভেঙেছে আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা। এগুলো হল– হিন্দুস্তান কোকাকোলা বেভারেজেস লিমিটেড, পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিটেড, বিসলেরি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড এবং মেসার্স নৌরিশকো বেভারেজেস লিমিটেড। এরা কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদের অন্তর্ভুক্ত হলেও তাঁদের দেওয়া তথ্য অসম্পূর্ণ। ‘এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার রেসপনসিবিলিটি (ইপিআর) লায়াবিলিটি’র আওতায় তাদের ‘অ্যাসেসমেন্ট অফ ইমপ্লিমেন্টেশন’ এর অ্যাকশন প্ল্যানের বিস্তারিত তথ্য তাঁরা জমা দেয়নি। যে যে নথি তাদের তরফে দেওয়া হয়েছে, তাতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে দেওয়া বাধ্যতামূলক শংসাপত্রও নেই। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই সংস্থাগুলিকেও শো–কজ নোটিস পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।