করোনা আবহে চলতি বছরে হিলি সীমান্তবর্তী উঁচা গোবিন্দপুরের দুর্গাপুজো হবে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে। ফলে কোনওভাবেই তাতে শামিল হতে পারবেন না প্রতিবেশী দেশের বাসিন্দারা। দু’দেশের একসঙ্গে পুজো উদযাপনও সম্ভব হবে না এবার। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ দুই বাংলার।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উঁচা গোবিন্দপুর গ্রামটি রয়েছে কাঁটাতারের ওপারে। প্রতিবছর সেখানেই সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় দুর্গাপুজো। গ্রামে বসবাসকারী ভারতীয় হিন্দুদের পাশাপাশি বাংলাদেশের দক্ষিণ দামোদরপুর গ্রামের ৫০টি হিন্দু এবং ৬০টি মুসলিম পরিবারও মেতে ওঠে ওই পুজোয়।
ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য দুইদেশের ওই দুই গ্রামের মানুষের মেলামেশায় নেই কোনও কড়াকড়ি। তাই গোবিন্দপুরের দুর্গাপুজোর প্রধান দর্শনার্থী ওপার বাংলার মানুষ। তবে চলতি বছরে ৬৭ বছরে পদার্পণ করা উঁচা গোবিন্দপুরের পুজো হবে নমো নমো করেই।
এবিষয়ে পুজো উদ্যোক্তা নৃপেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, “পুজোর আয়োজন হচ্ছে। তবে বেশি মানুষের মানুষের জমায়েত করতে দেওয়া হবে না এবার। দুই দেশের ২ গ্রামের মেলবন্ধনে প্রতিবছর যে মেলা হত, সেটিও হবে না এবছর।” অন্যদিকে, বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার দামোদরপুর গ্রামের বাসিন্দা মহন্মদ রিপন বলেন, “আমরা অন্য সম্প্রদায়ের, অন্যদেশের নাগরিক হলেও পুজোর কটা দিন আমাদের যাতায়াতে তেমন কড়াকড়ি থাকে না। ৫ দিন আমরা পুজোয় সম্পূর্ণভাবে শামিল থাকি। কিন্ত এবার তা হবে না।”