গতকাল রাতে উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটে এক তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারধর করে অচৈতন্য অবস্থায় অন্ধকার জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভান্ডারখালি রাউত পাড়ায়। অভিযোগ, গতকাল রাত ১১টা নাগাদ স্থানীয় তৃণমূল নেতা দীনবন্ধু কয়াল মোটর সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় নাকি রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতী প্রথমে গাছ ফেলে তাঁর মোটর সাইকেল আটকায়। তারপর গাড়ি থেকে তাঁকে নামিয়ে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে।
তৃণমূলের অভিযোগ, লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বছর আঠাশের দীনবন্ধুকে। তাঁর মোটর সাইকেলটিকেও ভাঙচুর করা হয়। মারের চোটে নেতা অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁকে জঙ্গলের মধ্যে দুষ্কৃতীরা ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বুধবার সকালে জঙ্গলের মধ্যে দীনবন্ধুকে পড়ে থাকতে দেখেন পথচারীরা। পাশেই তাঁর মোটর সাইকেলটিকে ভাঙা পড়ে থাকতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে তুলে টাকী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে সেখানেই ভর্তি রয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা।
এই ঘটনার জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে দায় চাপিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। হাসপাতালের বেডে শুয়ে দীনবন্ধু কয়াল অভিযোগ করেন, স্থানীয় বিজেপি কর্মী অমর রাউত, ভবতোষ দাস, সমরেশ দাসের মদতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে রাতের অন্ধকারে খুনের চেষ্টা করেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও বিজেপির বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তবে এই ঘটনায় উত্তপ্ত হিঙ্গলগঞ্জ। উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তাঁরা।