আগামী সপ্তাহেই বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হয়ে যাবে। ঠিক তার আগেই অনেকটাই স্বস্তি পেলেন অভিভাবকেরা। আজ তাঁদের স্বস্তি দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে বেসরকারি স্কুলে ২০ শতাংশ কমাতে হবে টিউশন ফি। একইসঙ্গে নন-অ্যাকাডেমিক ফিও নেওয়া যাবে না। এর আগে রাজ্য সরকারও বেসরকারি স্কুলগুলোকে এই বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিল। এবার আদালতও সেই একই নির্দেশ বহাল রাখল। আপাতত এই দুই নির্দেশের জেরেই পুজোর মুখে স্বস্তির হাসি হাসছেন রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা।
করোনাজনিত পরিস্থিতি ও তার জেরে টানা লকডাউন অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারকেই চরম বিপাকে ফেলে দিয়েছে। অনেকেই কাজকর্ম, চাকরি হারিয়ে ঘরে বসে আছেন। অনেকে আবার কাজ না হারালেও কাজে যোগদান করতে পারছেন না। একইসঙ্গে রাজ্যে বন্ধ রয়েছে সব স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। মূলত ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলিতে এই সময় পড়াশোনা চলছে অনলাইনের মাধ্যমে। আর সেটা দেখিয়েই তারা চড়া দরে ফি নিয়ে চলেছে যা অনেক অভিভাবকদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না আয় না থাকায় বা আয় কমে যাওয়ায়।
তার জেরে অভিভাবকদের তরফে নানা আবেদন, বিক্ষোভ দেখিয়েও স্কুলের ফি কমানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাঁরা এবার কড়া নেড়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের। বেসরকারি স্কুলের টিউশন ফি মকুবের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন অভিভাবকরা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই কলকাতা হাইকোর্ট এদিন জনিয়ে দিল টিউশন ফি ২০ শতাংশ কমাতে হবে। এর পাশাপাশি মকুব করতে হবে নন-অ্যাকাডেমিক ফি-ও।
এ দিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ফি ২০ শতাংশ কমাতে হবে রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি স্কুলগুলিকে। অনলাইনে পঠনপাঠন হলেও বাসভাড়া, কম্পিউটার, ল্যাব ইত্যাদি নন অ্যাকাডেমিক ফি নিচ্ছিল স্কুলগুলি। তাও মকুবের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অভিভাবকদের আরও সুবিধা দেওয়া যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে একটি ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে হাইকোর্ট। ওই কমিটিতে রয়েছেন হেরিটেজ স্কুলের প্রিন্সিপাল, মামলাকারীর আইনজীবী ও ব্যারিস্টার তিলক বসু।