অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি। এই মুহূর্তে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন বলে তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গিয়েছে। দেওয়া হতে পারে ভেন্টিলেশনে। রবিবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, চিকিৎসায় সাড়া দিলেও উদ্বেগ এখনও কাটেনি। জ্বর ও অন্যান্য সমস্যাগুলি রয়েছে। কিন্তু রাতের দিকে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। তৎপরতা বেড়েছে হাসপাতালেও।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌমিত্রকে উচ্চ মাত্রায় অক্সিজেন (মিনিটে ১৫ লিটার) দিতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে উচ্চ পিএসএ কাউন্ট, ডায়াবিটিস-সহ নানা আনুষঙ্গিক রোগ এবং ‘কোভিড এনকেলোপ্যাথি’ (মস্তিষ্কে কোভিড সংক্রমণের প্রভাব) চিকিৎসকদের চিন্তায় রেখেছে। এ ছাড়া, তাঁর প্রস্রাবে ই-কোলাই পাওয়া গিয়েছে। দেহে সোডিয়াম বেড়েছে, জলের ঘাটতি রয়েছে। রবিবার রাতেও শিল্পী অস্থির এবং অসংলগ্ন অবস্থায় রয়েছেন। তবে জ্বর ১০১ ডিগ্রির বেশি ওঠেনি। কোভিড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও ডাক্তারেরা সৌমিত্রবাবুর স্নায়বিক পরিস্থিতি জরিপ করা, হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং পারিপার্শ্বিক সংক্রমণ মোকাবিলায় জোর দিচ্ছেন।
রবিবার সন্ধ্যার দিকে বেলভিউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়, একই রকম রয়েছে সৌমিত্রের শারীরিক অবস্থা। বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে কিছুটা মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ লক্ষ করা যাচ্ছে। কিন্তু গভীর রাতে চিকিৎসকদের সূত্রে জানা যায়, জ্বরের পাশাপাশি সংক্রমণ রয়েছে বুকে। বেড়েছে অস্থিরতা। তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হতে পারে বলে চিকিৎসকদের সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, শনিবার রাতে সৌমিত্রকে দু’ইউনিট প্লাজমা দেওয়া হয়েছিল। রবিবার দেওয়া হয়েছে আরও এক ইউনিট।
গত বছর গুরুতর নিউমোনিয়ার শিকার হয়েছিলেন তিনি। এ সব মাথায় রেখেই চিকিৎসার পদক্ষেপ ঠিক করা হচ্ছে। তুলনায় দিনে শিল্পীর অবস্থা কিছুটা ভাল থাকলেও সন্ধ্যার পরে খারাপ হয়। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ১০ জন ছাড়াও ছ’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। ‘‘শিল্পীর বয়স এবং নানা আনুষঙ্গিক রোগ চিন্তায় রেখেছে। তবে সর্বতোভাবে লড়াই চলছে,’’ জানিয়েছেন হাসপাতালের সিইও প্রদীপ টন্ডন।