গতকাল সকালে হুগলি স্টেশনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা। আজ সকালে লিলুয়া স্টেশনে ভাংচুর চালাল ক্ষিপ্ত জনতা। অফিস-কাছারি চালু হলেও ট্রেন কবে চলবে কেউ জানে না। ফলে রোজ রাস্তায় বেরিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে যাত্রীদের। জরুরি পরিষেবায় যুক্তদের যাতায়াতের জন্য অবশ্য ট্রেন চলছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতেই এখনও লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে নিত্যদিনের ঝামেলায় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে সাধারণ মানুষেরও। আজ সোমবার সকালে তারই প্রতিফলন দেখল লিলুয়া স্টেশন।
কিছুদিন আগে জরুরি পরিষেবায় যুক্তদের জন্য চালানো স্পেশ্যাল সোনারপুরে লোকাল ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের ওঠা এবং তাঁদের নামিয়ে দেওয়া নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড বেঁধেছিল। গতকাল, রবিবারও ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধেছিল হুগলি স্টেশনে। সাধারণ যাত্রীরা লাল কাপড় দেখিয়ে, লাইনে স্লিপার ফেলে আটকে দেন লোকাল ট্রেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাণ্ডেল থেকে যায় আরপিএফের বিরাট বাহিনী। রেল পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় জনতা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিবৃতি দিতে একপ্রকার বাধ্য হয় রেল।
আজ সকালে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি স্পেশ্যাল ট্রেন যাচ্ছিল হাওড়ার দিকে। তবে সেই ডাউন ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন অনেক সাধারণ মানুষ। এদিকে আজ ট্রেনে স্পেশ্যাল চেকিং চলছিল। ফলে ধরা পড়ে যান তাঁরা। লিলুয়া স্টেশনে তাঁদের নামিয়ে দেওয়া হয় এবং নিয়ম ভাঙার শাস্তিস্বরূপ তাঁদের ফাইন করতে শুরু করেন টিকিট চেকাররা। তখনই যাত্রীদের সঙ্গে টিকিট চেকারদের বচসা শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে অশান্তির পারদ ওঠে চরমে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় লিলুয়া স্টেশন চত্বর। তুমুল ঝগড়া-চিৎকার-চেঁচামেচির মাঝেই লিলুয়া স্টেশনের অফিসে ভাঙচুর চালান উন্মত্ত জনতা। অফিসঘরে থাকা অধিকাংশ জিনিস ক্ষুব্ধ জনতার হামলায় ভেঙে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি এতটাই অশান্ত হয়ে ওঠে যে তা সামাল দিতে এলাকায় আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র্যাফ। পুলিশ এবং র্যাফ আসতে দেখে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে বিক্ষোভকারী জনতা। খানিকক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।