সপ্তাহ দুয়েক আগেই দিল্লীর সফদর জং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তির হাতে গণধর্ষণের শিকার হওয়া হাথরসের দলিত মহিলা। যা নিয়ে এখনও তোলপাড় গোটা দেশ। তবে তাতেও থেমে নেই যোগী রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা। সেই তালিকায় সাম্প্রতিকতম সংযোজন ১৭ বছরের এক নাবালিকা। রবিবার ঝাঁসির এক পলিটেকনিক কলেজের হোস্টেলের ভিতরে তাঁকে ধর্ষণ করে পলিটেকনিক ছাত্ররা! কেবল ধর্ষণই নয়, তোলা হয় আপত্তিকর ভিডিও-ও। যে সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, সেসময় ওই কলেজে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা চলছিল। চত্বরে মোতায়েন ছিল পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতিতে কী করে এমন ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে ওই কলেজে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই দ্বিতীয় বর্ষের একদল পড়ুয়া তাঁকে তুলে হোস্টেলের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে এক ছাত্র তাঁকে ধর্ষণ করে। বাকিরা ভিডিওয় তুলে রাখে সেই ঘটনার দৃশ্য। মারধর করা হয় নির্যাতিতার বন্ধুকেও। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ফের প্রশ্নের মুখে যোগী রাজ্যের নারী সুরক্ষা। পুলিশ যদিও জানাচ্ছে, চত্বরে মোতায়েন থাকা কয়েকজন পুলিশ কর্মী নির্যাতিতার কান্না শুনতে পান। এরপর তাঁরা ওই কিশোরীকে সিপ্রি বাজার থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর সময় ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন তিনি। একজন অভিযুক্তকে চিহ্নিতও করেছেন নির্যাতিতা। তার নাম ভরত। এখনও পর্যন্ত দুই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।