পাগড়ি বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াল বাংলার শিখ সমাজ। স্পষ্ট জানাল, এ রাজ্যে বাঙালি ও পাঞ্জাবিদের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সম্পর্ককে কোনও ভাবে তিক্ত করে তুলবেন না।
নবান্ন অভিযানের দিন বলবিন্দর সিংয়ের পাগড়ি খুলে নেওয়া বিতর্কে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ভোটের আগে কৌশলে শিখ ভাবাবেগ উস্কে দেওয়ার চেষ্টায় বিজেপি। গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা শিখ সমাজের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে বলে দাবি ‘শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটি’র প্রতিনিধিদের। রবিবার রাজভবনে গিয়ে তাঁরা নালিশ জানিয়েছেন রাজ্যপালের কাছে। যার প্রেক্ষিতে টুইটে রাজ্য সরকারকে দুষেছেন জগদীপ ধনকর।
এই পরিস্থিতিতে বঙ্গে বাঙালি ও শিখদের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত করার উস্কানি দেখছেন কলকাতায় পাঞ্জাবিরা। মহানগরের ‘গুরুদ্বার বড়া শিখ সঙ্গত’ দিল্লীর কমিটির নেতা মনজিন্দর সিংহ সিরসাকে চিঠি দিয়ে কড়া ভাবে বলে দিয়েছে যে, এ রাজ্যে বাঙালি ও পাঞ্জাবিদের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সম্পর্ককে কোনও ভাবে তিক্ত করে তোলা হলে তার জন্য সিরসারাই দায়ী হবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ দিনই ফোনে কথা হয়েছে রাজ্যপাল ধনকরের। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর উষ্মা গোপন করেননি। রাজ্যপাল তাঁর ক্ষমতা বলে কী করতে পারেন, ফোনালাপে সেই প্রসঙ্গও ওঠে। তখনই বার্তা দেওয়া হয়, এই সরকার ‘হুমকি’র কাছে মাথানত করে না, রাজভবনের ভূমিকা কোনও মতেই ‘বরদাস্ত’ করা হবে না।
রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর অবশ্য এ দিনও টুইট করে জানিয়েছে, এ রাজ্যে শিখ ভাই-বোনেদের বিশ্বাস ও ধর্মাচরণকে সরকার শ্রদ্ধা-সম্মান করে। সাম্প্রতিক একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অবৈধ ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখার অভিযোগে এক ব্যক্তি ধরা পড়েন। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনার ভুল ব্যাখ্যা করে একটি রাজনৈতিক দল যে ভাবে ‘সংকীর্ণ পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি’ থেকে তাতে রং লাগানোর চেষ্টা করছে, রাজ্য তাকে সমর্থন করে না।