করোনাভাইরাসের কালবেলায় মানুষ গৃহবন্দি। এই পরিস্থিতিতে খবরের চ্যানেলের উপরই সবচেয়ে বেশি নজর মানুষের। করোনার ভ্যাকসিন, দেশের সার্বিক আক্রান্ত-চিত্র থেকে ভিন্ন খবরের স্বাদ। তার উপর গত জুন মাসে বলিউডের নবীন তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও চলছে ডামাডোল। সাধারণ মানুষের কাছে সংবাদমাধ্যমই একমাত্র ভরসা এমন সংকটকালে। এমন পরিস্থিতিতে টিআরপি অর্থাৎ টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট টাকা দিয়ে কেনার অভিযোগ উঠল তিনটি চ্যানেলের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিক টিভি। অন্য দু’টি হল ফক্ত মরাঠি এবং বক্স সিনেমা।
মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতি মাসে একাধিক এলাকায় ঘুরে বাড়িতে বাড়িতে ৪০০-৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। এই চ্যানেলগুলি খুলে রাখার অনুরোধ করা হয়েছে যাতে টিআরপি বাড়ে এই চ্যানেলগুলির। বিভিন্ন পরিবারের লোকেদের কাছ থেকে পুলিশ বয়ান পেয়েছে যে, তাঁদের চ্যানেল থেকে এসে টাকা দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত অভিযোগ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রকের কাছে জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার পরম বীর সিং এই তথ্য সামনে নিয়ে আসেন। তিনি বলেছেন, ‘অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিক টিভি, ফক্ত মরাঠি এবং বক্স সিনেমা টাকা দিয়ে টিআরপি কিনেছে। এই কারসাজির দায়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছে মুম্বই পুলিশ। রিপাবলিক টিভির প্রোমোটার ও ডিরেক্টরদের শীঘ্রই সমন পাঠানো হবে।’ মুম্বই পুলিশ কমিশনার এই গোটা চক্রের বিশয়ে হদিশ দিয়েছেন। ‘হংস’ নামে এক সংস্থা এই তিন অভিযুক্ত চ্যানেলকে এই কারবার করতে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘মুম্বইতে প্রায় ২০০০ ব্যারোমিটার বসানো হয়েছে এই টিআরপি কারসাজি করার জন্য। কিছু মানুষ এই চ্যানেলগুলির হয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে মানুষের হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন। তাঁরা নির্দেশ দিয়েছেন অনবরত এই চ্যানেল চালিয়ে রাখতে।’ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই চ্যানেলের মালিকদের আটক করা হয়েছে।