হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা রঞ্জিত বাহাদুর শ্রীবাস্তব। নির্যাতিতাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি। দাবি করলেন, মূল অভিযুক্ত সন্দীপ সিংয়ের সঙ্গে নাকি সম্পর্ক ছিল দলিত তরুণীর। তিনিই ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে বাজরার খেতে ডেকেছিলেন। হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর এমন ঘটনা ঘটে। এই ধরনের মহিলাদের দেহ নাকি এভাবেই পাওয়া যায়। রঞ্জিত বাহাদুর শ্রীবাস্তবের দাবি, এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।
উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকি এলাকার বিজেপি নেতা রঞ্জিত বাহাদুর শ্রীবাস্তব। অন্তত ৪৪টি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কংগ্রেস নেত্রী নেত্তা ডি’স্যুজা তাঁর মন্তব্যের ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেন। ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি জাতীয় মহিলা কমিশনকে এবং তার চেয়ারপার্সন রেখা শর্মাকে ট্যাগ করে লেখেন, ‘এই হল বিজেপি নেতা রঞ্জিত শ্রীবাস্তবের মতো মানুষদের চিন্তাধারা। জাতীয় মহিলা কমিশন, রেখা শর্মা দয়া করে এই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কী?’
১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চার উচ্চবর্ণের যুবকের বিরুদ্ধে। তারপর থেকে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রথমে রাতের অন্ধকারে ক্ষেতের মাঝে তরুণীর মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। তারপর সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আবার দাবি করে নির্যাতিতার ভাইয়ের নামে থাকা সিমকার্ড যে ফোনে ছিল, সেই ফোন এবং মূল অভিযুক্ত সন্দীপ সিংয়ের ফোনের মধ্যে নাকি শতাধিকবার কল করা হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে কথোপকথন হয়েছে বলেও দাবি। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এই দাবির পরই আবার বিজেপি নেতা অমিত মালব্য নির্যাতিতার ভাইকে জিজ্ঞাসবাদের দাবি জানান।