হাথরাস কাণ্ডে এদিন যোগী সরকারের হলফনামা তলব করে সুপ্রিমকোর্ট। সেখানে তারা দাবি করেছে যে, কোনও রকম হিংসা এড়াতেই সেই রাত্রে হাথরাসের নির্যাতিতার দেহ পোড়ানো হয়েছিল। এরপরই শীর্ষ আদালত এই ঘটনার নিন্দা করে বলে, “এই ঘটনা বীভৎস। এক কথায় অভাবনীয়।” শীর্ষ আদালত জানতে চায়, এই ঘটনায় সাক্ষীদের সুরক্ষার কী ব্যবস্থা রয়েছে? উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থাই বা কী?
শীর্ষ আদালতে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে আবেদনকারীদের বলা হয়, হাথরাস কাণ্ডের স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সুনিশ্চিত করবে আদালত। এক সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়। তার মধ্যেই যোগী সরকারকে জমা দিতে হবে হলফনামা। ইতিমধ্যেই হাথরাস কাণ্ডে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ১৯ টি এফআইআর করেছে যোগী সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে বহু রাজনৈতিক নেতার নাম। তালিকা থেকে বাদ যাননি সাংবাদিকও।
এরপর আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানির শুরুতেই উত্তরপ্রদেশ সরকার ১৬ পাতার একটি বিবৃতি জমা দেয়। সেই বিবৃতির মূল বক্তব্য গোটা ঘটনায় যোগী সরকারকে খাটো করতে ঘটানো হয়েছে। বিবৃতিতে লেখা হয়, “রাজনৈতিক দলগুলি এবং মিডিয়ার একাংশ এই ঘটনাকে ধরে হিংসা ছড়ায়। দলিতদের খেপাতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়।” পাশাপাশি ওই তরুণীকে পোড়ানো নিয়েও যুক্তি দেন তাঁরা। কিন্তু সেই ঘটনাকে যেভাবে সুপ্রিম কোর্ট ভয়াবহ বলে ব্যাখ্যা করেছে, তাতে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে যোগী সরকার।