হাসরথ কান্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে যোগী সরকার। তার উপর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মন্তব্য করলেন, যারা রাজ্যের উন্নতি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে, তারাই হাথরাসের ঘটনা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাথরাস নিয়ে রাজ্য জুড়ে ১৯ টি মামলা দায়ের করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তার মধ্যে দেশদ্রোহিতা, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচার করা, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রশাসনের সম্মানহানি ইত্যাদি অভিযোগ আছে।
হাথরাসের দলিত তরুণী গত সপ্তাহে মারা যান। পুলিশ যেভাবে এফআইআর করেছে, তাতে স্পষ্ট, হাথরাসের ঘটনাকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ধরা হচ্ছে। মৃতের পরিবারের লোকজন প্রথমেই বলেন, “আমরা ন্যায়বিচার চাই।” পরে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, রাতের অন্ধকারে তরুণীর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কেন? মৃত তরুণীর ভাই প্রশ্ন করেন, “সেদিন কার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদি আমার বোনের দেহ হয়, তবে ওইভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হল কেন? পুলিশ এবং প্রশাসন কেন তাকে শেষবারের মতো দেখতে দিল না। আমি বোনের পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট দেখতে চেয়েছিলাম। পুলিশ বলল, ওই রিপোর্ট ইংরেজিতে লেখা। তোমরা পড়তে পারবে না।”
কিন্তু কি আড়ালের চেষ্টা চালাচ্ছে যোগী সরকার সেই প্রশ্নে মুখর বিরোধী শিবির থেকে আপামর দেশের জনগন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক দলিত তরুণীকে চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তি ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার পরিবারের দাবি, তাঁরা দলিত হওয়ার জন্যই পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করেছিল। গণধর্ষণের পরে তরুণীর ওপরে বীভৎস অত্যাচার করে অপরাধীরা। তাঁর শরীরে নানা জায়গায় হাড় ভেঙে যায়। সারা শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়। ঘাড়ে গভীর ক্ষত থাকার জন্য তাঁর নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। পুলিশ জানায়, তরুণীর জিভেও ক্ষত ছিল।