চাপের মুখ থেকে শুধু গোটা দলটাই প্রত্যাবর্তন করেনি, পাহাড় প্রমাণ প্রত্যাশা কাঁধে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ালেন সিএসকে-র তারকা ওপেনার শেন ওয়াটসন। প্রথম চার ম্যাচে বড় রান পাননি। শুরু হয়েছিল প্রবল সমালোচনা। এই অবস্থা থেকে কী ভাবে ওয়াটসন ছন্দে ফিরলেন? সেই নিয়েই এবার মুখ খুললেন দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তিনি বলেন, ‘‘এর জন্য ওয়াটসনকে বাড়তি আগ্রাসন দেখাতে হয়নি। নেটে ও ভালই ব্যাট করছিল। ওর রান পাওয়াটা ছিল সময়ের অপেক্ষা।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ডুপ্লেসি একটা দিক ধরে খেলছিল। মাঝের ওভারগুলোতে ওকে বেশ কিছু ভাল শট মারতে দেখলাম।’’
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে এ বারের আইপিএল শুরু করলেও, তারপর টানা তিন হারের ধাক্কায় চাপ বেড়েছিল চেন্নাই শিবিরে।এই অবস্থায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে দুরন্ত জয়ের পরে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বলেছেন, ‘‘কিছু ছোটখাটো ভুলভ্রান্তি হচ্ছিল। তা শুধরে নেওয়াতেই এই প্রত্যাবর্তন। এটা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ভাবেই ইনিংস শুরু করতে হত। আশা করি, এই ছন্দ বজায় রাখা যাবে।’’
ওয়াটসনের রানে ফেরা সম্পর্কে সিএসকে কোচ স্টিভন ফ্লেমিংও বলেন, ‘‘এটা কোনও রহস্য নয়। ওয়াটসন নেটে ব্যাট করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে আমরা চিন্তিত হতাম। এটাই একজন পেশাদার ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতার শক্তি। ওয়াটসনের মতো ক্রিকেটার এক বার ছন্দ ফিরে পেলে রান করেই যায়।’’ পাশাপাশি, সাফল্যের দিনে ধোনিও বাহবা দিয়েছেন দলের কোচ ফ্লেমিংকে। তাঁর কথায়, ‘‘ফ্লেমিংকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। সব চেয়ে ভাল ব্যাপার হল, আমরা একটা পরিকল্পনা নিয়েই খেলতে নামি। এমন নয়, যে তা নিয়ে তর্কবিতর্কের অবকাশ থাকে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটি পরিকল্পনা সামনে রেখেই ম্যাচ জেতার দিকে এগোই আমরা।’’
অন্যদিকে, দুরন্ত প্রত্যাবর্তনের পর ওয়াটসন বলেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত ও দলের হয়ে চাহিদামতো খেলতে পেরে ভালই লাগছে। যে বলগুলো ফ্যাফ মারতে পছন্দ করে, তা ও পেয়ে কাজে লাগিয়েছে। ওর সঙ্গে ব্যাটিং দারুণ উপভোগ করেছি।’’ অন্য দিকে, ডুপ্লেসির কথায়, ‘‘পুরো কৃতিত্ব ধোনি ও ফ্লেমিংয়ের। অন্য দলের চেয়েও ওরা অনেক বেশি আস্থা রাখে ক্রিকেটারদের উপর। দলের আবহ এমন রাখতে চেষ্টা করে যেন, আমরাই ফাইনাল খেলব।’’ ওয়াটসনও আইপিএলের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভিডিওতে ডুপ্লেসিকে বলেন, ‘‘ওরা দু’জনে জানে, ক্রিকেটারদের উপর আস্থা রাখলে পরিস্থিতি পরিবর্তন হবেই।’’