হাথরস কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। সর্বত্রই সমালোচনার মুখে যোগী সরকার। তাদের অস্বস্তি আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিয়ে সোমবার ত্রিপুরায় নীরব সত্যাগ্রহ করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। আগরতলা পোস্টঅফিস চৌমুহনিতে কংগ্রেস ভবনের সামনে এই কর্মসূচী পালন করে তারা। কার্যনির্বাহী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ বিশ্বাস জানিয়েছেন, হাথরসের বীভৎস ঘটনা ও রাহুল গান্ধীকে শারীরিক নিগ্রহের প্রতিবাদে এবং যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগের দাবিতে তাঁদের এই আন্দোলন। তাঁর অভিযোগ, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে দেখা করতে গেলে রাহুল গান্ধীকে পুলিশ শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করেছে। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে পুরুষ পুলিশ বাধা দিয়েছে।
পীযূষ আরও বলেন, বিজেপি পরিচালিত সরকার দেশের কোনও জায়গাতেই শালীনতা বজায় রাখতে পারে না। হাথরসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের পর নৃশংস ভাবে হত্যা করা হল। অথচ, যোগী প্রশাসন অপরাধীদের আড়াল করার সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে! খোদ জেলাশাসক নির্যাতিতার পরিবারকে শাসাচ্ছেন। অপরাধীদের আড়াল করতে নিহতের দেহ পরিবারকে না দিয়ে রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। রাজ্যে গুন্ডারাজ কায়েম করায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন আদিত্যনাথ। তিনি ইস্তফা না দেওয়া পর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেস আন্দোলন চালিয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই যেভাবে প্রতিবাদ দানা বাঁধতে শুরু করেছে, তাতে বেশ খানিকটাই বেগ পেতে হবে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে।