করোনার ধাক্কায় ভারত তো বটেই, বেসামাল গোটা বিশ্ব অর্থনীতিই। তবে এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে যেখানে লাগাতার ছাঁটাই চলছে, সেখানে মমতার বাংলায় একেবারে উল্টো ছবি। কর্মসংস্থানের নতুন ক্ষেত্র, কর্মসংস্থান বাড়াতে এবার রাজ্যে হচ্ছে টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাডপ্টেশন সেন্টার (টিডিএসি)। এর জন্য রাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, কলকাতা– ইনোভেশন পার্ক, জোকার মধ্যে সোমবার সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। ছিলেন রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অনিল বর্মা, আইআইএম–কলকাতার ডিরেক্টর প্রফেসর অঞ্জু শেঠ এবং আইআইএম–কলকাতা–আইপি–র সিইও ড. শুভ্রাংশু সান্যাল।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি দফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের দিশা দেখায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় রাজ্যে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রগুলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে দিশা দেখাচ্ছে। তাই রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি দফতর ওয়েস্ট বেঙ্গল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কাউন্সিলের মাধ্যমে টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাডপ্টেশন সেন্টার গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। যা রাজ্যের নবীন প্রজন্মকে শিল্পোদ্যোগীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে উদ্ভাবনে উৎসাহ দেবে। যে কোনও পণ্যের আরও আধুনিকীকরণেও অনুপ্রাণিত করবে। রাজ্যে নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হবে, বাড়বে কর্মসংস্থান। সম্ভাবনাময় গবেষণার কারণে রাজ্যে স্থায়ী উদ্যোগ, ব্যবসার পথ খুলে যাবে।