রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয়তায় ও সহায়তায় ‘শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ’-র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পরেই আইএসএলে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের। গত সপ্তাহের রবিবার সরকারিভাবে লাল-হলুদ শিবিরের আইএসএল খেলার কথা ঘোষণাও করে দেয় এফএসডিএল। কিন্তু গত মঙ্গলবার ক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভার পরেই অন্য দিকে মোড় নেয় ঘটনা।
ক্লাব সদস্যদের একাংশ মূলত আপত্তি তোলে ইনভেস্টরের প্রস্তাবিত চুক্তির তিনটি শর্ত নিয়ে। সেগুলি হল – ১) ক্লাব ও লগ্নিকারী সংস্থার নিয়ম সম্পূর্ণ আলাদা। ভবিষ্যতে যদি দু’পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ হয়, সে ক্ষেত্রে লগ্নিকারী সংস্থার নিয়মই অগ্রাধিকার পাবে। ২) এত দিন সদস্যরা কার্যকরী কমিটি নির্বাচন করতেন। নতুন কোম্পানির শর্ত অনুযায়ী সদস্যদের অধিকার বোর্ডের হাতেই থাকবে। সেক্ষেত্রে কার্যকরী কমিটির ক্ষমতা হ্রাস পাবে। এবং, ৩) বিভিন্ন ক্রীড়া বিভাগের সচিবের ক্ষমতাও কার্যত থাকবে না।
সেদিনের বার্ষিক সভায় মূলত এই ৩টি কারণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় লগ্নিকারী সংস্থার চুক্তিতে সই করছিলেন না ক্লাব কর্তারা। যার ফলে স্থগিত হয়ে যায় কোচ ও ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়াও। ক্লাব কর্তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয় লগ্নিকারী সংস্থার পক্ষ থেকেও। এমনকি বিগত ২-৩ দিন ধরে লগ্নিকারী সংস্থা চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে যেতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছিল।
যার ফলে পরিস্থিতি সামলাতে গতকাল রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আলোচনায় বসেছিলেন ক্লাব কর্তা ও লগ্নিকারী সংস্থার আইনজীবীদের সঙ্গে। তাতে কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ক্লাবের তরফে চুক্তির কয়েকটি অংশ পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করা হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার তা নিয়ে ফের আলোচনা হওয়ার কথা। ওয়াকিবহাল মহলের আশা, মঙ্গলবারের আলোচনাতেই সমস্যা মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে আপামর ইস্টবেঙ্গল জনতা।