কাজে এল না লোকেশ রাহুলের ৬৩ রানের ইনিংস। ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার শেন ওয়াটসন ও ফাফ ডু’প্লেসি। তাঁদের ১৮১ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপে ভর করে তিন ম্যাচ পর জয়ে ফিরল চেন্নাই সুপার কিংস। রবিবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ১০ উইকেটে হারাল ধোনি-ব্রিগেড। পাঞ্জাবের ১৭৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ১৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের কড়ি সংগ্রহ করে ফেলে সিএসকে। ওয়াটসন ৮৩ ও ডু’প্লেসি ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
২০১৩ সালে মোহালিতে পঞ্জাবকে দশ উইকেটে হারিয়েছিল চেন্নাই। সে বার ১৩৮ রান তাড়া করতে নেমে মুরলী বিজয় ও মাইক হাসির দাপটেই ম্যাচ জিতে নিয়েছিল হলুদ জার্সিধারীরা। রবিবারের টার্গেট সে বারের থেকে অনেক কঠিন ছিল। তার উপরে দুবাইয়ের মাঠ শারজার মতো ছোট নয় যে মিস হিটও ছক্কা হয়ে যাবে। উল্টোদিকে রয়েছেন মহম্মদ শামি, শেলডন কটরেলের মতো বোলার। ধেয়ে আসা সমালোচনা ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস শুষে নেওয়ার পক্ষে ছিল যথেষ্ট। তবুও দমেননি চেন্নাইয়ের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ -ওয়াটসন ও ডু’ প্লেসি। দশ উইকেটের এই দাপুটে জয় চেন্নাই শিবিরকে পরের ম্যাচগুলোয় আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে সন্দেহ নেই।
লোকেশ রাহুলের দুরন্ত ফর্ম এদিনও অব্যাহত ছিল। পাঁচটি ম্যাচ খেলে ৩০২ রানে পৌঁছে গেলেন রাহুল। রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ফের ঝলসে উঠল রাহুলের চওড়া ব্যাট। ৫২ বলে করলেন ৬৩ রান। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে প্রতিপক্ষের ঘাড়ে বড় রান চাপিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল পাঞ্জাবের। শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ওপেনিং জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৬১ রান। যদিও সিএসকে’র অধিনায়ক ধোনির মোক্ষম চালেই পার্টনারশিপ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। পীযূষ চাওলার বলে ২৬ রান করে মাঠ ছাড়েন মায়াঙ্ক। তিন নম্বরে নামা মনদীপ সিং (২৭)ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই তাঁকে ফেরান জাদেজা। এরপরে নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে নিয়ে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৫৮ রান যোগ করেন রাহুল। তবে ঠিক সময় চেন্নাই সুপার কিংসের পেসার শার্দুল ঠাকুরের জোড়া ছোবলে ম্যাচে ফেরার খুঁজে পায় সিএসকে। শেষের দিকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১১) ও সরফরাজ খান (১৪) কিছুটা লড়াই চালালে পাঞ্জাব ৪ উইকেটে ১৭৮ রান তোলে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার শেন ওয়াটসন ও ফাফ ডু’প্লেসি। চলতি আইপিএলে একেবারেই ছন্দে ছিলেন না অজি তারকা ওপেনারটি। তবে এদিন দুরন্ত ইনিংস উপহার দেন তিনি। ৩১ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ওয়াটসন। ডু’প্লেসিও ৩৩ বল খরচ করেন পঞ্চাশের গণ্ডি টপকাতে। আইপিএল ইতিহাসে চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বাধিক পার্টনারশিপ গড়েন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছেদ্য ১৮১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয় লক্ষ্যে পৌঁছে দেয় ওয়াটসন-ডু’প্লেসি জুটি।