জমে উঠেছে আইপিএলের লড়াই। প্রতি ম্যাচেই চলছে ধুন্ধুমার লড়াই। গতকাল দুরন্ত লড়াই করেও মুম্বাইয়ের কাছে হারল হায়দ্রাবাদ।
গতকাল টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতেই ধাক্কা খায় চার বারের চ্যাম্পিয়নরা। সন্দীপ শর্মার বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রোহিত (৬)। মুম্বই অধিনায়ক দলের স্তম্ভ। তাঁর মতো ব্যাটসম্যানের উইকেট শুরুতে হারালে চাপে পড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
কুইন্টন ডি কক ও সূর্যকুমার যাদব সেই চাপ কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। তৃতীয় উইকেটে সূর্যকুমার ও কুইন্টন ৪২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। সূর্য যাদব সহজাত ব্যাটিং করছিলেন। ১৮ বলে ২৭ রান করে সিদ্ধার্থ কলের বলে আউট হন সূর্য। তাঁর ইনিংসে সাজানো ছিল ছ’টি বাউন্ডারি।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন হায়দ্রাবাদের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো। মুম্বইয়ের বাঁ হাতি বোলার ট্রেন্ট বোল্টের বলে বেয়ারস্টো ফেরেন। তার আগে অবশ্য ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান ১৫ বলে ২৫ রান করেন। হায়দ্রাবাদের রান তখন এক উইকেটে ৩৪। এর পরে ওয়ার্নার ও মণীশ পাণ্ডে ৬০ রান জোড়েন। ১৯ বলে ৩০ রান করে আউট হন মণীশ। কেন উইলিয়ামসনের কাছ থেকে দলের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু কিউয়ি অধিনায়ক (৩) এ দিন ব্যর্থ হন। আগের ম্যাচের নায়ক প্রিয়ম গর্গ (৮) ফুলটস বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন রাহুল চহারের হাতে। শেষ ২ ওভারে হায়দ্রাবাদের জেতার জন্য দরকার ছিল ৪৭ রান। যশপ্রীত বুমরা, পোলার্ডের মতো অভিজ্ঞ বোলারদের সামলে এই রান তোলা খুবই কঠিন ছিল হায়দ্রাবাদের পক্ষে। মুম্বইয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ছড়াছড়ি। এই হায়দরাবাদ দলে অভিজ্ঞতা কম। অভিজ্ঞতার অভাবেই ম্যাচটা হারতে হল ওয়ার্নারদের।