আর্থিক দূর্ণীতির অভিযোগে কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে শিবকুমারের বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। কর্ণাটক, দিল্লী এবং মুম্বইয়ের মোট ১৪টি জায়গায় এ দিন তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। কংগ্রেসের অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, উপনির্বাচনের সময় তাদের প্রস্তুতি বানচাল করে দিতেই এই হানা। প্রসঙ্গত, আগামী ৩ নভেম্বর ওই রাজ্যের দু’টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে।
কর্নাটকে এইচডি কুমারস্বামী সরকারের সেচমন্ত্রী ছিলেন ডিকে শিবকুমার। তাঁর বিরুদ্ধে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগে মামলা করেছে সিবিআই। তারা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তৎকালীন জনতা দল সেকুলার এবং কংগ্রেস জোট সরকারের ওই মন্ত্রী-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই সূত্রেই কর্ণাটকের ৯টি জায়গায় এ দিন তল্লাশি চালায় সিবিআই। এর পাশাপাশি দিল্লির ৪টি এবং মুম্বইয়েরও একটি জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই জায়গাগুলি থেকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
গত বছর এই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে শিবকুমারের বিরুদ্ধে। আয়কর দফতরের আধিকারিকরা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। তদন্তে নামে সিবিআই। আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত সব তথ্য সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় ইডি। তারপর থেকেই এই অভিযোগের তদন্তের ভার নিয়েছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি শিবকুমারকে গ্রেফতার করে। জেরার জন্য ইডির তরফে কর্নাটকের জেডিএস ও কংগ্রেসের জোট সরকারের মন্ত্রী শিবকুমারকে দিল্লীতে তলব করা হয়েছিল। চিদম্বরমের মতো তিনিও আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কর্নাটক হাইকোর্ট তাঁর আগাম জামিনের মামলা খারিজ করে দেয়। এর পরেই ইডি তাঁকে দিল্লীতে তলব করে। সেখানেই চার দিন তাঁকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। দীর্ঘ সময় জেরার মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।