২০২৪-এ লোকসভা ভোটে জিতে কেন্দ্রে ফের যদি কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করে, তাহলে তারা কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেবে। পাঞ্জাবের কৃষকদের কাছে এদিন এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও পাইকারি বাজার- দেশের তিনটি স্তম্ভকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভেঙে ফেলতে চাইছেন বলে এদিন তোপ দাগেন রাহুল।
কৃষি আইনের প্রতিবাদে আজ থেকে তিনদিনের ট্র্যাক্টর মিছিল শুরু করেছেন কৃষকরা। তারই সূচনা করে এদিন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, “ওঁদের লক্ষ্য হল এমএসপি ও ফুড প্রকিওরমেন্টকে ধ্বংস করে দেওয়া। এই সরকারকে কখনও এটা করতে দেবে না কংগ্রেস।” এ দিন রাহুল প্রতিশ্রুতি দেন, “আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যে, যখনই কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে, আমরা এই কালা আইন মুছে ফেলব।”
সংসদে তীব্র হই-হট্টগোলের মধ্যে দিয়ে কৃষি বিল পাশ হয়ে আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিরোধী ও কৃষকদের বিক্ষোভ। নিজেদের অবস্থান আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে কংগ্রেসের নেতৃত্বেই শুরু হয়েছে খেতি বাঁচাও যাত্রা। গত সপ্তাহে কৃষি আইনের বিরোধিতায় রাজধানীর ‘হাই সিকিউরিটি’ এলাকায় ইন্ডিয়া গেটের সামনে ট্র্যাক্টর জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। চারপাশে স্লোগান ওঠে, নয়া কানুন ওয়াপস লো।
নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে সে দিন দেশের নানা প্রান্তে চলে বিক্ষোভ। তবে, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় বড় সংখ্যায় কৃষকেরা পথে নামলেও দেশের অন্যত্র বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিল কংগ্রেস এবং তাদের সহযোগী দলগুলি। দিল্লী থেকে তামিলনাড়ু – কোথাও শুধুই স্লোগান তো কোথাও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। তারপরই একাধিক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ।