আগামী বছরই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। আর ভোট এগিয়ে আসতেই ফের রাজ্যজুড়ে খুন-জখম-হিংসার রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। এবার যেমন কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল নয়, একেবারে এক সরকারি আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় কাঠগড়ায় বীরভূমের এক বিজেপি কর্মী। স্থানীয় বিজেপি কর্মী সন্তোষ ভৌমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বৃহস্পতিবার কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নির্বাহী সহায়ককে মারধর, অফিসের কম্পিউটার ভাঙচুর ও সরকারি ফাইল নষ্ট করেছেন তিনি। এ বিষয়ে আক্রান্ত নির্বাহী সহায়ক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রহৃত আধিকারিকের অভিযোগ, ‘মূলত, উপপ্রধান মামন শেখের উপর ওদের রাগ। তাঁকে না পেয়ে আমাকে দলবল নিয়ে আক্রমণ করেছে। বিডিও সাহেব ও পুলিশকে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছি।’ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার চৌবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধানের বিরুদ্ধে উঠেছিল একশো দিনের কাজের ৯ লক্ষ টাকা তছরূপের অভিযোগ। এলাকাবাসীদের একাংশ প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান। স্থানীয় সূত্রে খবর, কাজ হয়ে গিয়েছে এমন দাবি করে একশো দিনের কাজের ৯ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। কিন্তু বাস্তবে কোনও কাজই হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ‘আমরা পঞ্চায়েত প্রধানকে বারবার বলা সত্বেও আমার কথা কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। তাই মহকুমা শাসকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি আমরা।’ অপরদিকে, গত মঙ্গলবারই দলেরই এক কর্মীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা তোলাবাজি চাওয়ার অভিযোগে হাওড়ার বালি বিজেপির মণ্ডল-১ এর সভাপতি রাজা গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছে বালি পুলিশ। বিজেপির ওই কর্মীই পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে বালি থানার পুলিশ দীঘার একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে রাজাকে।