কংগ্রেসের পর তৃণমূল। হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার যোগীর পুলিশের প্রবল বাধার মুখে পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হল তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। এরপরেই ধর্নায় বসে পড়েন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ইস্তফার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
মৃত নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে, তাঁদের কথা শুনতে শুক্রবার সকালে সেখানে পৌঁছে যান সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মমতাবালা ঠাকুর এবং প্রতিমা মণ্ডল। কিন্তু নির্যাতিতার গ্রাম থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ব্যারিকেড করে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন তাঁদের আটকে দেয়।
পুলিশের কাছে প্রবেশাধিকার চেয়ে বারবার অনুরোধ করেন ডেরেক, কাকলিরা। কিন্তু সেই কথায় কান দেয়নি পুলিশ। তাঁদের পুলিশ পরিষ্কার জানিয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় কাউকে হাথরাসের ওই এলাকায় ঢুকতে অনুমতি দেওয়া যাবে না। ডেরেক ও’ব্রায়েন অনুরোধ করেন যাতে তাঁদের দুই মহিলা প্রতিনিধিকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু সে কথাও কানে তোলেনি তারা। উল্টে ডেরেককে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয় যোগীর পুলিশ।
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের এখানে পাঠিয়েছেন। তাঁর নির্দেশেই আমরা এসেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাই তিনি এখানকার খবর নিয়ে আসতে বলেছেন।’ হাথরসে যা হয়েছে তা ঘোরতর অন্যায় বলে জানিয়ে কাকলি বলেন, ‘একটা মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করে বাবা মায়ের অনুমতি না নিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে এখানে। এটা অন্যায়।’
বাধা পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিমা মণ্ডল বলেন, ‘যোগী সরকার এটাই করছে। সকলকে বাধা দিচ্ছে। দলিতদের জন্য এরা কিছু করছে না। আমাদের ভেতরে যেতে দিচ্ছে না।’ মমতাবালা ঠাকুর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।