গতকালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল যোগী রাজ্যে। রাহুল, প্রিয়াঙ্কাদের মতোই হাথরসে ঢোকার আগেই আটকে দেওয়া হল তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধি দলকে। পুলিশকে টপকে যেতে গেলে নির্মমভাবে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হল তৃণমূলের রাজস্যভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনকে।
গতকালই হাথরাসের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বাংলার মখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর শুক্রবার সকালেই তৃণমূল সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল হাথরাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও প্রতিমা মণ্ডল এবং প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর।
দিল্লী থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার যাত্রা করার পরে হাথরাস ঢোকার ঠিক দেড় কিলোমিটার আগে থামিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। সেখানে উপস্থিত রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। তৃণমূল প্রতিনিধিরা পুলিশকে জানান, তাঁরা শুধুমাত্র নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ও তাঁদের সমবেদনা জানাতে যাচ্ছেন। কিন্তু তাতেও যাওয়ার অনুমতি তাঁদের দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।
পুলিশের বাধা টপকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশে সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। এরপরেই রাজস্যভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় যোগীর পুলিশ। এই ঘটনার পরে রাস্তাতেই বসে পড়েন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। সেখানেই তাঁরা শুরু করেছেন ধর্না। সব মিলিয়ে আজও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সেখানে।
তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ও তাঁদের সমবেদনা জানাতে যাচ্ছিলাম। সব নিয়ম মেনে আলাদা আলাদা ভাবে আমরা যাত্রা করছিলাম। আমাদের হাতে অস্ত্রও ছিল না। তাহলে আমাদের কেন আটকানো হল? এটা কী ধরনের জঙ্গলরাজ যেখানে একটি নির্যাতিত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে সাংসদদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই মুহূর্তে নির্যাতিতার বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে রয়েছি। আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম হেঁটেই যাব। তাও যেতে দেওয়া হয়নি।’