হাথরাসের ঘটনায় গোটা দেশ ক্ষোভে ফুঁসছে। দলিত মেয়েটির নারকীয় হত্যাকাণ্ডে আরও দৃঢ় হচ্ছে প্রতিবাদ। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি উঠেছে সর্বত্র। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকর্তা মন্তব্য করে বসলেন, “এক সপ্তাহ পরে ধর্ষণের কথা জানিয়েছিলেন ওই তরুণী!” এর ফলে আবারও পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা, অসংবেদনশীলতার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশকর্তা প্রশান্ত কুমার বলেছেন, “১৪ তারিখ ঘটনার পর ২২ তারিখে মেয়েটি প্রথম ধর্ষণের কথা বলে। এক সপ্তাহ পরে কেন বলল? তাছাড়া ফরেনসিক রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি।”
যোগীরাজ্যের পুলিশের ধর্ষণ না হওয়ার দাবি এবং এক সপ্তাহ পরে জানানো নিয়ে প্রশ্ন তোলার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নির্যাতিতার শরীর থেকে ঘটনার অনেক পরে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাহলে সেখানে বীর্য না থাকারই কথা। কিন্তু তা ছাড়াও যে প্রমাণ মিলেছে তা থেকে ধর্ষণের ও নারকীয় নির্যাতনের চিহ্ন স্পষ্ট। তাহলে কী ভাবে পুলিশ এই দাবি করছে, প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের।
প্রসঙ্গত, নিহত তরুণীর পরিবার অভিযোগ করেছিলেন, ঘটনার দিন রাতে বাড়ি না ফেরায় তাঁরা স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনও গা করেনি। আরও আগে যদি মেয়েকে উদ্ধার করা যেত তাহলে হয়তো প্রাণে মরতে হতো না। এর পরে পুলিশের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ ওঠে, বাড়ি থেকে জোর করে মৃতার দেহ নিয়ে গিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার।