কিংস কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য ভাবে ম্যাচ জিতেছে রাজস্থান রয়্যালস। তাঁদের দলের দুই ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসন ও রাহুল তেওয়াটিয়া বিপক্ষ বোলারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন। এ রকম একটা দলের বিরুদ্ধে একপেশে ভাবে ম্যাচ জিতে নিল কলকাতা। দুবাইয়ে রাজস্থানকে ৩৭ রানে উড়িয়ে দিয়ে দীনেশ কার্তিকরা হয়তো বার্তা দিলেন, কেকেআর, হ্যায় তৈয়ার।
গতকাল ছেলেদের উৎসাহ দিতে মাঠে চলে এসেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খান। কিং খানের সামনেই দাপুটে পারফরম্যান্স তুলে ধরলেন দীনেশ কার্তিক-শুভমন গিলরা।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা নাইটদের বিরুদ্ধে যার শুরুটা করেছিলেন জোফ্রা আর্চার ও জয়দেব উনাদকাট। শুরু থেকেই টলমল করতে থাকা সুনীল নারিনকে (১৫) ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন উনাদকাট। প্রতিপক্ষ পেসারদের বল চোখেই দেখতে পাচ্ছিলেন না ক্যারিবিয়ান তারকাটি। তৃতীয় ওভারেই তাঁকে মাঠ ছাড়তে হত। কিন্তু নারিনের গগনস্পর্শী ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি রবিন উথাপ্পা। হতাশায় তাঁকে বলে থুতু লাগাতেও দেখা যায়। কে জানে, কোভিড বিধি লঙ্ঘন করায় উথাপ্পা শাস্তির মুখে পড়বেন কি না! তবে জীবন পেয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি নারিন।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানে পৌঁছায় নাইটরা। জবাবে নাইটদের পেস আক্রমণের সামনে শুরু থেকেই নড়বড়ে দেখায় রাজস্থান রয়্যালসকে। দ্বিতীয় ওভারে স্টিভ স্মিথকে ৩ রানে তুলে নেন কামিন্স। পঞ্চম ওভারে ফের ধাক্কা খায় রাজস্থান। দুরন্ত ফর্মে থাকা সঞ্জু স্যামসনকে মাত্র ৮ রানে ফিরিয়ে দেন শিবম মাভি। এর কিছুক্ষণের মধ্যে বাটলারকেও (২১) আউট করে নাইটদের চালকের আসনে বসিয়ে দেন মাভি। চাপের মুখে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হন কেকেআরের প্রাক্তনী রবিন উথাপ্পাও (২)। নাগারকোটির দুরন্ত ডেলিভারিতে ডাগ-আউটে ফেরেন তিনি। একই ওভারে রিয়ান পরাগকেও ফিরিয়ে দিয়ে কেকেআরের জয়ের আশা আরও উজ্জ্বল করেন নাগারকোটি। পেসারদের গড়ে দেওয়া ভিত কাজে লাগিয়ে বাকি কাজটা সম্পন্ন করেন স্পিনাররা। মারকুটে তেওয়াটিয়া ও আর্চারকে আউট করে প্রতিপক্ষের ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বন্ধ করে দেন বরুণ চক্রবর্তী। কুলদীপ যাদব ও সুনীল নারিন নিয়েছেন একটি করে উইকেট। শেষদিকে টম কুরান ৩৬ বলে ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেও নাইটদের জয় আটকাতে পারেননি তিনি