উত্তরপ্রদেশে হাথরসে নৃশংস গণধর্ষণকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। একইসঙ্গে, নাম না করে বিজেপিকে কার্যত তুলোধনা করলেন তৃণমূল নেত্রী। যোগীর রাজ্যে দলিত কন্যার ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চেয়ে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। এবার তাতে গলা মেলালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও।
বৃহস্পতিবার টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত তরুণীর উপর বর্বরোচিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা করার মতো ভাষা নেই। পরিবারটির প্রতি সমবেদনা জানাই।’ একইসঙ্গে কার্যত জোর করে তরুণীর দেহ সৎকারের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নাম না করেই বিজেপির তুমুল সমালোচনা করে মমতা লেখেন, ‘কিছু মানুষ আছে যাঁরা, ভোটের জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর স্লোগান দেয়। পরিবারের অনুমতি ছাড়াই জোর করে তরুণীর দেহ সৎকারের ঘটনা তাদের স্বরূপ প্রকাশ্যে এনেছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরস জেলার ওই দলিত তরুণী ধর্ষণ এবং নৃশংসতার শিকার হন। দিল্লীর সফদরজং হাসপাতালে দু’সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পরে মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার রাত একটা নাগাদ ওই তরুণীর দেহ পৌঁছয় তাঁর গ্রামে। বড় রাস্তায় অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড় করানো হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শ্মশানের আলো। শেষকৃত্যের প্রস্তুতি শুরু করে পুলিশ।
মধ্যরাতে শেষকৃত্য হোক তা চাননি নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। বুধবার রাতের যে ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, মেয়েকে শেষবার নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য তরুণীর মা’কে পুলিশের কাছে অনুনয় করতে দেখা গিয়েছে। হাথরাসের পুলিশের তরফে টুইট করে শেষকৃত্যের বিষয়ে জানানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, মৃতার পরিবারের ইচ্ছানুসারেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ-প্রশাসনের তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ চেয়েছেন তাঁরা। এদিকে বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে বারবার আক্রমণ করেছে বিজেপি। এবার পাল্টা গেরুয়া শিবিরকে তুলোধনা করলেন মমতা।