বুধবারই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অভিযোগ করছিলেন, উত্তরপ্রদেশে নারী নিরাপত্তার চিহ্নমাত্র নেই। কংগ্রেস নেত্রী যে নেহাতই ভ্রান্ত অভিযোগ করেননি, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল বলরামপুরের গণধর্ষণের ঘটনায়। হাথরাসের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে মাদক খাইয়ে এক দলিত যুবতীকে গণধর্ষণ করা হল। শুধু ধর্ষণ নয়, দুষ্কৃতীদের নৃশংস অত্যাচারে শেষপর্যন্ত প্রাণও হারাতে হয়েছে ওই যুবতীকে।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার সকালে ওই তরুণীকে অফিসের পথ থেকে অপহরণ করে দুই দুষ্কৃতী। তাঁকে মাদক খাওয়ানো হয়। তারপর গণধর্ষণ। ভেঙে দেওয়া হয় হাত-পা, শিরদাঁড়া। ধর্ষণ এবং নির্যাতনের পর কার্যত অচেতন অবস্থায় ওই তরুণীকে রিক্সায় বসিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। কাতর সুরে নির্যাতিতার মা বলছিলেন, ‘আমার মেয়েটাকে ওরা বাড়ির উঠোনে ফেলে রেখে চলে গেল। ও উঠে দাঁড়াতে পারছিল না, কথাও বলতে পারছিল না ঠিকমতো। শুধু কাতরস্বরে বলছিল, আমি মরতে চাই না।’ ওই নির্যাতিতাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে লখনউ নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু পৈশাচিক নির্যাতনের জেরে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় শাহিদ এবং সাহিল নামের দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন নাবালক।
হাথরাস, বলরামপুরের মতোই নৃশংসতা দেখা গিয়েছে বুলন্দশহর এবং আজমগড়েও। বুলন্দশহরে ১৪ বছর বয়সের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতের। অন্যদিকে আজমগড়ে নির্যাতিতার বয়স মাত্র ৮ বছর। ওই শিশুকন্যাকে স্নান করানোর আছিলায় ধর্ষণ করেছে ২০ বছরের এক প্রতিবেশী যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি নির্যাতিতা। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।