উত্তরের জেলাগুলির জন্য নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্প নেওয়া হলেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা করা হয়। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে নাম না করে বিজেপিকে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এছাড়াও ধর্মীয় ভেদাভেদের অভিযোগ তুলে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেন তিনি।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরবঙ্গকে ঢেলে সাজানোই লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। কোভিড পরিস্থিতিতেও উত্তরের জেলাগুলির আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকেও বিরোধীদের খোঁচা দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ জুড়ে যা কাজ হয়েছে তা কখনও হয়নি। তবু দুঃখ কেউ কেউ বলে কোনও কাজ হয়নি। যারা একথা বলে তারা শুধু নিজেদের স্বার্থ বোঝে। যারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারাই সবচেয়ে বড় গুন্ডা। হাজারটার মধ্যে একটা ভুল হয়ে গেলেই নৃত্য করবে। টাকা থাকলে মিথ্যে খবর করানো যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যে রটাচ্ছে। রাজনীতি মানে মিথ্যে কথা বলা নয়। রাজনীতি মানে দায়বদ্ধতা।’
নাম না করে ধর্মীয় ভেদাভেদের অভিযোগে গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ধর্ম আমরাও মানি। সব ধর্মকে আমরাও ভালবাসি।’ রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র মিথ্যে প্রচার করছে বলেও কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর দাবি, ‘আমরা সাইকেল দিচ্ছি। আর দিল্লী থেকে এসে বলছে ওগুলো দিল্লী থেকে দেওয়া। দিল্লী কা লাড্ডু জানেন তো খেলেও পস্তাবেন।’ কেন্দ্রের তরফ থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না বলেও আরও একবার অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এছাড়াও এদিনের বৈঠকে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে উত্তরের প্রত্যেক জেলায় একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে বলেই জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক জেলায় তৈরি হয়েছে হাসপাতাল। এছাড়াও মাল্টিসুপার হাসপাতালও তৈরি করা হয়েছে। রাস্তাঘাট সংস্কার করা হয়েছে। পর্যটনকে ঢেলে সাজাতে ভোরের আলোর মতো প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নানা ধরনের সাফারি চালু করা হয়েছে।’ মূলত পর্যটনের মাধ্যমেই যে উত্তরের জেলাগুলির অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে তা জানান তিনি। এছাড়াও চা শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকার যথেষ্ট ভাবনাচিন্তা করে বলেও দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।