টানা ১৫ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মেনেছেন চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তির হাতে গণধর্ষণের শিকার হওয়া উত্তরপ্রদেশের হাথরসের দলিত মহিলা। মঙ্গলবারই দিল্লীর সফদর জং হাসপালাতে মৃত্যু হয়েছে ওই নির্যাতিতার। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। এর প্রভাব পড়তে পারে পড়শি বিহারের নির্বাচনী হিসেবনিকেষে। এমনটাই মনে করছেন দুই রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বিজেপির নেতারা।
হাথরস ঘটনায় ধর্ষিতার মৃতদেহ পরিবারের আপত্তি সত্বেও গভীর রাতে পুলিশ পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। তড়িঘড়িতে এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে বিজেপি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তারপরেই বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করেছেন যোগী। কিন্তু কেন রাতের অন্ধকারে পরিবার মানা করা সত্বেও সৎকার করল পুলিশ, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অন্যদিকে, সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। বিএসপি সুপ্রিমো দলিত নেত্রী মায়াবতী বলেন পুলিশের কাজে সংশয় ও বিক্ষোভ বাড়ছে। এই বিষয় সুপ্রিম কোর্টকে নিজে থেকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে আর্জি জানান তিনি যাতে মৃতার পরিবার বিচার পায়। কংগ্রেসের তরফে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
যদিও বিরোধীদের কথাকে বিতর্ক উস্কে দেওয়ার চেষ্টা বলে লঘু করে দেখার চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপি নেতাদের আশঙ্কা, দলিতদের বিক্ষোভ না দানা বাঁধে এই ধর্ষণ ও হত্যা নিয়ে। যদি প্রতিবাদ ঘনীভূত হয় তাহলে সেটার প্রভাব বিহারেও পড়তে পারে বলে আরেক নেতা মনে করেন। বিহারে ১৮ শতাংশ দলিত ভোট আছে ও জাতপাতের রাজনীতি বিহারের একটি অনস্বীকার্য বাস্তবতা।