করোনা কালে চাকরি টিকিয়ে রাখা নিয়ে যখন আম জনতা আতঙ্কে রয়েছেন তখন একদিনে প্রায় ৫০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী এবং প্রধান শিক্ষককে নিয়োগপত্র দিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা বদলির নিয়োগপত্রে পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্তিক চন্দ্র মান্না স্বাক্ষর করেছেন বলেই পর্ষদ সূত্রের খবর।
গত সপ্তাহে প্রায় ৪৪৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী এবং প্রধান শিক্ষকের বদলির নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্তিক চন্দ্র মান্না। ইতিমধ্যেই ই মেল মারফত প্রশাসনের তরফে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকাদের জানানো হয়েছে। জেলার স্কুল পরিদর্শকদের এই বিষয়ে পর্ষদের তরফে ই মেল পাঠানো হয়েছে।
স্কুল না খুললে বদলির নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা আপাতত স্কুলে যোগ দিতে পারবেন না। শুধু তাই নয় যে স্কুল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বদলি হচ্ছেন এবং যে স্কুলে যোগ দেবেন উভয় স্কুলেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র পাঠানো দরকার। স্কুল না খুললে সেই নিয়োগপত্র পেলেও আপাতত প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়।
দীর্ঘ দিন ধরেই বিশেষ কারণে বদলি বা ট্রান্সফার অন স্পেশাল গ্রাউন্ড-এর মাধ্যমে বদলির প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। অবশেষে তা ফের শুরু করল রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতর। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বদলি সংক্রান্ত সুপারিশের চিঠি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠানো হলেও পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের অসুস্থতার কারণে সেই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে পড়ে। পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্তিক চন্দ্র মান্না আসার পর পরেই বদলি প্রক্রিয়া আবার শুরু হল।