কমিশন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিতেই ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে বিহারে। দুর্গাপুজো মিটলেই বিধানসভা ভোট সে রাজ্যে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে মাদক চক্রের জাল নীতিশ সরকারকে বিপাকে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিহারের ভূমিপুত্র সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু ঘিরে যেখানে মাদক যোগের খবর উঠতে শুরু করেছে, সেখানে বিজেপি জোট সরকারের রাজ্যে এমন মাদক চক্র ঘিরে শঙ্কার মেঘ গাঢ় হচ্ছে।
এক সর্বভারতীয় চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, নীতিশ সরকার রাজ্যে মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকেই বিহারে ক্রমেই ঘুর পথে রমরমা বেড়েছে মাদকের। পাটনা জুড়ে আপাতত ভিড় রয়েছে জেইই ও নিট পরীক্ষার্থীদের। অনেকেই কেরিয়ার গড়তে এই শহরে টিউশনের জন্য আসেন। আর সেই সমস্ত অল্প বয়সী ছাত্রদের পাকড়াও করে পাটনার বহু গলিতে গোপনে মাদক চক্র জোরালো হতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, নীতিশ কুমার ২০১৫ সালের ভোটের আগে বিহারকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, তিনি রাজ্য থেকে মদ্যপান দূর করবেন। কারণ মদ্যপানের জেরে বিহারে বহু অপরাধ, গার্হস্থ্য অপরাধের ঘটনা ঘটে। প্রতিশ্রুতি মতো নীতিশ রাজ্যে মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা জারিও করেন। তবে সেই সিদ্ধান্তই নীতিশের কাছে বুমেরাং হয়ে আসে। বিহারে মদ্যপানের পরিবর্ত হিসাবে জাল ছড়ায় মাদক চক্র।
দেখা গিয়েছে, পাকিস্তান, পাঞ্জাব থেকে যখন পশ্চিমের রাজ্যে মাদক ঢুকছে চোরাপথে, তখন বিহারে নেপালের পথে মাদক ঢুকতে শুরু করেছে। পাটনার বহু রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার বলছে, ২০১৫ সালের আগে মাদকাসক্তের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল।, তবে , ২০১৫ সালে নীতীশ কুমারের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের পর থেকে সেই সংখ্যা বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। ২০১৫ সালের পর ২০০০ জন মাদকাসক্তকে সুশ্রুষা করেছে বলে জানিয়েছে পাচনার দিশা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার।
অভিযোগ উঠছে, বিহারে নীতিশ সরকারের নজরদারির গাফলতির জন্যই রাজ্যে এমন অবস্থা। আসলে বিহারে ২০১৫ সালের পর থেকে প্রচুর মাদক উদ্ধার হয়েছে। ২০১৫ সালে ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধারের পরিসংখ্যান মেলে., যা ২০১৭ সালে ২৮,৮৮৭ কেজিতে ঠেকেছে। আফিম ২০১৫ সালে ২ কেজি উদ্ধার হয় বিহারে, ২০১৭ সালে ৩২৮ কেজি আফিম উদ্ধার হয়েছে নীতিশ রাজ্যে। অন্যদিকে বলিউডের এনসিবি তদন্ত বলছে, পাকিস্তান থেকে ঘুরপথে পাঞ্জাবের অমৃতসর হয়ে ভারতে ঢুকছে মাদক। যা বলিউডে সরবরাহ হচ্ছে।