উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে বাগডোগরা বিমানবন্দরের জন্যে ১০৪ একর জমি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এই জমি না পাওয়ায় বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ করা যায়নি। আজ ১০৪ একর জমি দেওয়া হল। আরও ভালো করে এই বিমানবন্দর হলে সিকিম, বঙ্গ ও ভুটানের সুবিধা হবে। আরও বেশি সংখ্যায় আন্তর্জাতিক বিমান আসতে পারবে।’
বুধবারের প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সারা উত্তরবঙ্গ জুড়ে যা কাজ হয়েছে, তা আগে কোনওদিন হয়নি। যারা বলে হয়নি, তারা আসলে রাজনীতি করে। কী কাজ বাকি আছে বলুন তো? আমরা দিচ্ছি সাইকেল আর দিল্লী থেকে এসে বলছে, ওরা দিচ্ছে। আমরা দিচ্ছি রেশন আর ওরা এসে বলছে, ওরা দিচ্ছে। রাজনীতি করা মানে খালি মিথ্যা কথা বলা নয়। রাজনীতি করা মানে সামাজিক কাজ করাও।’ চাঁছাছোলা ভাষায় এদিন এভাবেই কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। একইসঙ্গে তোপ দাগেন, ‘স্পেশাল ট্রেনিং দিয়ে আইএএস, আইপিএস হচ্ছে। আগে এসব ছিল?’
নাম না করে ধর্মীয় ভেদাভেদের অভিযোগে গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ধর্ম আমরাও মানি। সব ধর্মকে আমরাও ভালবাসি।’ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ফের একবার করোনা আবহে পুজো গাইডলাইন নিয়ে সতর্ক করে দেন মমতা। বলেন, ‘উৎসব হলেও সাবধান থাকতে হবে। বিসর্জনে লোক কম থাকবে। চারদিন বিসর্জন হবে। লক্ষী পুজোর আগের দিন অবধি বিসর্জন দেওয়া যাবে। উৎসব হবে কিন্তু কোভিড প্রোটোকল মেনেই হবে। কারণ নিয়ম যদি না মানা হয়, তাহলে লাখ লাখ লোক আক্রান্ত হবেন। প্রত্যেকের সুবিধার জন্য প্রতিমা দর্শনের দিনও বাড়ানো হয়েছে।’