দীর্ঘ ২৮ বছর পর বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় বেকসুর খালাস হলেন আডবাণী-জোশী-উমা ভারতী-সহ ৩২ অভিযুক্ত। শীর্ষ আদালতের মতে, এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না, আচমকা ঘটেছে। এমনকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জোরালো সাক্ষ্য নেই বলেও মত বিচারকের। আর এরপরই সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন জাতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি এদিন একটি প্রতিক্রিয়ায় জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী এই ঘটনা অপরাধ ছিল। কিন্তু আজকের এই রায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধী।
এমনকি ৯২-এর বাবরি ভঙ্গের ছবিতেও মান্যতা দিল না আদালত। মসজিদ ভেঙেছিল উন্মত্ত জনতা। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন নেতারা, মত আদালতের। এই রায়ের পর আডবাণীকে শুভেচ্ছা অমিত শাহ-জে পি নাড্ডার। অনেকদিন পর খুশির খবর, প্রতিক্রিয়া আডবাণীর। প্রমাণ হল ষড়যন্ত্র ছিল না, বললেন জোশী। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাচ্ছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড।
এদিন দিল্লীতে দলীয় সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুরজেওয়ালা বলেছেন, গত বছরের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া ছিল “স্পষ্ট অবৈধতা এবং গুরুতর আইন লঙ্ঘন।” তাঁর বক্তব্য, যে কোনও মূল্যে ক্ষমতা দখলের জন্য দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধকে ধ্বংস করার জন্য বিজেপি ও আরএসএস এবং এর নেতাদের দ্বারা সমগ্র জাতি একটি গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।”