রাজ্যে একের পর এক প্রতারণার ঘটনা ঘটার পরপরই টেলি কলিং প্রতারণা চক্রে জড়িত থাকার সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশের সাইবার সেল। এই দু’জনের বিরুদ্ধে টেলিফোন বিভাগ থেকে অভিযোগ এসেছিল বলে খবর মিলেছে। কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতরের আধিকারিকরা এই দু’জনের বিরুদ্ধে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম সেলে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তারপর থেকেই এই ২ ব্যক্তির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছিল সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। অবশেষে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে সল্টলেক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের। আজ তাদের আদালতে তোলা হয়। সেখানে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় সাইবার সেল।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মোহিত সিং এবং মহম্মদ সাদ্দাম। এদের মধ্যে মোহিত বেহালার বাসিন্দা এবং মহম্মদ সাদ্দাম কড়েয়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের থেকে একটি কম্পিউটার, একটি ল্যাপটপ, একটি সুইচ যার সাহায্যে আন্তর্জাতিক কল করা হতো এবং এইসব কলের ধরণ বদলে ঘরোয়া কল করা সম্ভব, চারটি মোবাইল, বিভিন্ন ব্যঙ্কের কাগজপত্র, একাধিক ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং আইডি কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে একটি বেআইনি কল সেন্টার তৈরি করে এই ব্যবসা চালাচ্ছিল ধৃতরা। মূলত, ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক ফোন কলকে ঘরোয়া ফোন হিসেবে দেখিয়ে কার্যত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে তাদের নাকের ডগায় বসে এতদিন এই প্রতারণে চক্র চালাচ্ছিল মোহিত এবং মহম্মদ সাদ্দাম। যদিও এই কল সেন্টার নির্মাণের জন্য তাদের কাছে উপযুক্ত কোনও অনুমতিপত্র ছিল না। সাধারণত কল সেন্টার নির্মাণের জন্য যেসব নথিপত্র প্রয়োজন তার কিছুই ছিল না।
এমনকি যে টোল ফ্রি নম্বর তাঁরা ব্যবহার করত, সেগুলিও ব্যবহার হতো বেআইনি পদ্ধতিতেই। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আন্তর্জাতিক কলের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছিল এরা। বিধাননগর পুলিশের সাইবার সেলের অনুমান, এদের পিছনে কাজ করছে বড় কোনও চক্র। আপাতত সেই মাথাদের বাগে আনতে খোঁজখবর নিচ্ছেন তদন্তকারীরা।