ভারতীয় অর্থনীতির দুরবস্থা দেখেও তাকে চাঙ্গা করার দাওয়াই দিতে না পারায় কেন্দ্রের ব্যর্থতাই দায়ী। আর্থিক বৃদ্ধির পতন রোধে যাদের সাড়া ছিল দুর্বল। এমনটাই দাবি করে চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস বাড়িয়ে দিয়েছে মুডি’জ থেকে ফিচ, ক্রিসিল, কেয়ারের মতো একের পর এক মূল্যায়ন সংস্থা। এবার দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণকে বাড়তে দেখেই চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি-র পূর্বাভাস বদলাল মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রা-ও। জানাল, আগে তা ৯.৫ শতাংশ কমবে বলে আন্দাজ করা হলেও, সেটা ১১ শতাংশ হওয়ার আশঙ্কা। তাদের হুঁশিয়ারি, যদি অসংগঠিত ক্ষেত্র এবং ছোট ব্যবসায় ক্ষতির বাস্তব পরিসংখ্যান পাওয়া যায় এবং দেখা যায় এপ্রিল-জুনের ২৩.৯ শতাংশ সঙ্কোচন আসলে সেই ক্ষতি যোগ করে আরও বেশি, তা হলে ওই ১১ শতাংশও অনেকখানি বাড়তে পারে।
অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে (এপ্রিল-জুন) জিডিপি সঙ্কোচনের হার ছিল ২৩.৯ শতাংশ। প্রায় সব দেশের মধ্যে সর্বাধিক। যাকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অর্থনীতি সামলানোর অদক্ষতা, অযোগ্যতা ও করোনা-সঙ্কটেও আর্থিক সাহায্যে এগিয়ে না আসার তোপ দাগছেন বিরোধীরা। অনেকের আশঙ্কা, জিডিপি এই অর্থবর্ষে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হতে পারে। কার্যত যাকে সমর্থন করছে ইক্রার অনুমান। ইক্রার অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের দাবি, পর্যটন, বিনোদনের মতো ক্ষেত্রে, যেখানে দূরত্ববিধি মানা কঠিন, সেগুলিই মূলত হতাশ করছে। তার ওপরে আর্থিক অনিশ্চয়তা এবং সংক্রমণের আশঙ্কার প্রভাব দীর্ঘতর হচ্ছে চাহিদা ও লগ্নী সিদ্ধান্তের ওপরে। ফলে তা বাড়ছে না।’