হাজার বিরোধিতা সত্বেও শক্তির অভাবে সংসদে বিতর্কিত কৃষি বিলগুলির পাশ হওয়া আটকাতে পারেনি কংগ্রেস। রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি জানিয়েও লাভ হয়নি। তিনিও বিতর্কিত এই বিলগুলিতে সই করে সেগুলিকে আইনে পরিণত করেছেন। তারপর একেবারে মাঠে নেমে শুরু হয়েছে আন্দোলন। সোমবার দেশজুড়ে এই আইনগুলির বিরুদ্ধে ধর্না, বিক্ষোভ, মিটিং-মিছিল সবই করেছে দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল। কিন্তু সরকার অনড়। বিতর্কিত এই আইন প্রত্যাহারের কোনও পরিকল্পনাই কেন্দ্রের মোদী সরকারের নেই। তাই বাধ্য হয়ে চরম পন্থা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নিলেন সোনিয়া গান্ধী। সংবিধানের ২৫৪(২) ধারা ব্যবহার করে অন্তত কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে এই আইন কার্যকর না করার পরামর্শ দিলেন তিনি।
সোমবার রাতে সোনিয়ার এই নির্দেশ সংবাদমাধ্যমের কাছে পড়ে শোনান কংগ্রেসের সাংবিধানিক সাধারণ সম্পাদক কে সি ভেণুগোপাল। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস সভানেত্রী কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিকে এই কৃষক বিরোধী কৃষিবিলগুলি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বলা হয়েছে সংবিধানের ২৫৪(২) ধারা অনুযায়ী রাজ্য বিধানসভায় আইন পাশ করাতে, যাতে কেন্দ্রের এই আইন এড়িয়ে যাওয়া যায়।’ সংবিধানের এই ২৫৪(২) ধারা অনুযায়ী কোনও রাজ্য চাইলে বিধানসভায় আইন পাশ করিয়ে নিজেদের এলাকায় কেন্দ্রীয় আইন কার্যকর নাও করতে পারে। এর আগে ২০১৫ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে এই ধারা কাজে লাগিয়ে পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকার প্রণিত বিতর্কিত জমি অধিগ্রহণ বিল লাগু না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সোনিয়াও সেই পথেই হাঁটছেন।
শুধু কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে এই আইন লাগু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি কংগ্রেস। দলের একাধিক নেতা ইতিমধ্যেই এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিনও এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন। এদিকে মঙ্গলবারও দেশজুড়ে এই আইনগুলির বিরোধিতা জারি রেখেছেন কৃষকরা।