মোট আক্রান্তের নিরিখে ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় এখন দ্বিতীয় স্থানে ভারত। তারপরেও রোজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা। এবার যেমন বাড়তে বাড়তে দেশে করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। প্রায় এক মাস পর দৈনিক সংক্রমণ অনেকটা কম হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭০ হাজার ৫৮৯ জন। ওই সময়ের মধ্যে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৩ হাজার ৭৭৪ ও ১৩ হাজার ১৫৫। প্রায় গত দু’ মাস ধরেই ওই দু’টি দেশের তুলনায় ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। দেশে এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ লক্ষ ৪৫ হাজার ২৯১ জন। তবে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার কমে হয়েছে ৬.১৮ শতাংশ।
মোট আক্রান্তের তালিকায় শুরু থেকেই দেশের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। দেশের মোট আক্রান্তের ২০ শতাংশেরও বেশি সেখানে। এখনও অবধি সাড়ে ১৩ লক্ষ জন আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে। ৬ লক্ষ ৮১ হাজার আক্রান্ত নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অন্ধ্রপ্রদেশ। তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকে মোট আক্রান্ত যথাক্রমে ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ও পাঁচ লক্ষ ৮২ হাজার। উত্তরপ্রদেশে সংখ্যাটা ৩ লক্ষ ৯০ হাজার। দিল্লীতেও ২ লক্ষ ৭৩ হাজার। উড়িষ্যাতে গত কয়েক দিন ধরেই বল্গাহীনভাবে বেড়ে মোট আক্রান্ত হয়েছে ২ লক্ষ ১২ হাজার। তেলেঙ্গানাতে তা ১ লক্ষ ৮৯ হাজারে। গত কয়েক সপ্তাহে বিহারে (১.৭৯ লক্ষ) কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে করোনা সংক্রমণ। কিন্তু এ মাসে কেরালায় দৈনিক সংক্রমণ বেশ লাগাম ছাড়া। যার জেরে সেখানে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার।
অন্যদিকে, ভারতে মৃতের সংখ্যাও ইতিমধ্যে ৯৫ হাজার ছাড়়িয়ে দিন দিন আরও বেড়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৭৭৬ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ৯৬ হাজার ৩১৮ জনের প্রাণহানি ঘটিয়েছে করোনা। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৫১ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট মৃত্যু ৯ হাজার ৩৮৩। তৃতীয় স্থানে থাকা কর্ণাটকে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৬৪১।অন্ধ্রপ্রদেশে করোনা প্রাণ কেড়েছে ৫ হাজার ৭৪৫ জনের। উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লীতে মোট মৃত্যু পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে বাড়ছে। তবে ভারতে কোভিড রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটা বেশ আশাব্যাঞ্জক। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৫১ লক্ষ ১ হাজার ৩৯৭ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৮৪ হাজার ৮৭৭ জন।