রাজ্যপাল হয়ে এ রাজ্যে আসার পর থেকেই একাধিক সময় নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন জগদীপ ধনকর। এই করোনা আবহেও প্রতিদিন সকালে উঠে কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা যেন নিয়ম করেই ফেলেছেন তিনি। অধিকাংশ সময়ই তাঁর প্রশ্ন, আবেদন, দাবি-দাওয়া ইত্যাদি বন্ধ হওয়ার লক্ষ্মণ দেখা যায় না। কিছুদিন আগেই যেমন তিনি আবদার জুড়েছিলেন যে তাঁর রাজভবনের একাধিক কর্মীকে পছন্দ না, তাই তাঁদের সরিয়ে দিতে হবে। আর তার পরপরই ‘হাউসহোল্ড’ খাতে বরাদ্দ অর্থ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে নবান্নের কাছে তিনটি খাতে অতিরিক্ত ৫৩.৫ লক্ষ টাকা চেয়ে পাঠানো হয়েছিল রাজভবন থেকে। তবে গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, করোনার কারণে ব্যয় সঙ্কোচের পথে হাঁটছে সরকার। তাই কোনও দফতরকেই অতিরিক্ত বরাদ্দ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ নিয়েই ফের জলঘোলা শুরু হয়েছে রাজভবনের তরফে।
প্রসঙ্গত, রাজভবনের অন্দরমহল পরিচালনার জন্য নামমাত্র টাকা পড়ে রয়েছে বলে দাবি রাজ্যপালের সচিব সতীশ তেওয়ারির। এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবে রাজ্যপালের সংসার চলবে তা নাকি ভেবে পাচ্ছেন না কর্তারা। এদিকে রাজ্য অর্থ দফতর সূত্রের খবর, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজভবনের জন্য সাড়ে ১৬ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। করোনা চলে আসায় অর্থ দফতর বেতন-পেনশন ছাড়া সব খাতের খরচ ৫০ শতাংশ ছাঁটাই করেছে। বাদ যায়নি রাজভবনও। এ প্রসঙ্গে নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘রাজ্যের ৫০টি দফতরের মতো রাজভবনেও ব্যয় সঙ্কোচ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। করোনার টাকা বরাদ্দেই যেখানে সমস্যা হচ্ছে, সেখানে রাজভবনে অতিরিক্ত বরাদ্দ কীভাবে সম্ভব?’ উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্যপালের সচিব সতীশ তেওয়ারি স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি লিখে জানান, নবান্ন এখনও অর্থ বরাদ্দের ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করেনি। তবে স্বরাষ্ট্র সচিবও চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, ব্যয় সঙ্কোচের জন্য রাজভবনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা সম্ভব নয়।