সকাল থেকেই মুখভার আকাশের। মেঘলা আকাশ এবং বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের কারণে হাঁসফাঁস অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ক্রমশই বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। চরম আর্দ্রতা, ভ্যাপসা গুমোট গরমে দিনেরবেলায় টেকা দায়। আবহাওয়া দফতর যদিও জানিয়েছে, আজ বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়।
আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। গতকাল সন্ধ্যায় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বনিম্ন ৫৯ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ।
দক্ষিণবঙ্গের বিক্ষিপ্ত ভাবে হাল্কা থেকে মাঝারি দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেও উত্তরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। মালদায় আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টির তীব্রতা এবং স্থায়িত্ব বাড়বে উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ক্রমাগত অবস্থান বদল করছে। সেই সঙ্গে দোসর ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমী অক্ষরেখা। এই সবের প্রভাবে ভূখণ্ডে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তার প্রভাবেই এই বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আজ বৃষ্টি হতে পারে নদিয়া, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সংলগ্ন সুন্দরবন এলাকায়। তবে এই বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গেলেও তাপমাত্রার হেরফের হবে না। কমবে না আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। ইতিমধ্যেই হুগলি জেলার বেশ কিছু অংশে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি শুর হয়েছে। হাল্কা হাওয়াও বইছে। মূলত গাঙ্গেয় পশ্চিবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে সব ক্ষেত্রেই বৃষ্টি হবে বিক্ষিপ্ত ভাবে দু-এক পশলা। দক্ষিণবঙ্গের কোথাওই বৃষ্টির স্থায়িত্ব বা তীব্রতা বেশি হবে না বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।