বুধবার বিকেলের দিকে সমন পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। সেইমতো শনিবার সাত সকালেই দক্ষিণ মুম্বইয়ে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো(এনসিবি)-র অফিসে পৌঁছে গিয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। এবার এই বলিউড অভিনেত্রীকে জেরায় জানা গেল ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশের সঙ্গে তার মাদক চ্যাট আদৌ ভুয়ো নয়, সত্যি! হোয়াটসঅ্যাপের সেই গ্রুপে মাদক নিয়ে ‘ডি’ এবং ‘কে’-র যে কথোপকথন হয়েছিল তা আদপে দীপিকা (ডি) এবং করিশ্মারই (কে) চ্যাট। এনসিবি সূত্রের খবর, জেরায় এ কথা স্বীকার করেছেন দীপিকা।
একই সঙ্গে দীপিকা এ-ও বলেছেন, মাদক নিয়ে আলোচনা করলেও, তিনি নিজে মাদক নেন না। কোনও দিন নেননি। শনিবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ মুম্বইয়ের কোলাবা অ্যাপালো বন্দরের এভলিন গেস্ট হাউসে এসআইটি-র দফতরে মাদক কাণ্ডে জিজ্ঞাসবাদের জন্য পৌঁছন দীপিকা। এর কিছুক্ষণ পরেই সেখানে ঢুকতে দেখা যায় সুশান্তের ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশকে। গতকালও করিশ্মাকে জেরা করেছিল এনসিবি।
মাদককাণ্ডে দীপিকার নাম জড়িয়ে যাওয়ার নেপথ্যে মূলত বছর তিনেক আগের এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। গত সোমবার এনসিবির হাতে আসে ওই চ্যাট। তাতে দেখা গিয়েছিল, ‘ডি’ এবং ‘কে’ নামে দুই ব্যক্তির মধ্যে মাদক নিয়ে বেশ কিছু কথাবার্তা হয়েছে। কখনও ‘ডি’, ‘কে’র কাছে হ্যাশ চেয়েছে আবার কখনও বা ‘কে’ তাঁকে হ্যাশের জোগানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বলিউডের একাংশ দাবি করেছিলেন ওই ‘ডি’ এবং ‘কে’ যথাক্রমে দীপিকা করিশ্মা।
ঘটনা আরও জটিল হয়ে যায়, যখন এনসিবির বারেবারে জিজ্ঞাসাবাদের ফলে সুশান্তের প্রাক্তন ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহা কার্যত এনসিবির কাছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথা স্বীকার করে নেন। জানা যায়— করিশ্মা, জয়া এবং দীপিকা, এই তিনজনের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল। জয়াই খুলেছিলেন গ্রুপটি। অ্যাডমিন ছিলেন দীপিকা এবং সদস্য ছিলেন করিশ্মা। ‘ফাঁস’ হওয়া সেই চ্যাট আদপে ওই গ্রুপেরই। এদিন দীপিকাও জেরায় সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলেই এনসিবি সূত্রে খবর।