কর্নাটক বিধানসভার অধিবেশনের শেষ দিনে জমি অধিগ্রহণ বিলের সংশোধনী নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয় না কারণ, কংগ্রেস বিধায়করা বিলের কপি ছিঁড়ে ওয়াক আউট করেন। বিরোধী শূন্য বিধানসভায় বিল পাশ হয়ে যায়। কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার অভিযোগ করেন, ওই সংশোধনী এনে সরকার কৃষকদের দাস বানাতে চায়।
শিবকুমারের কথায়, “জমি অধিগ্রহণ বিলে একটা খুব খারাপ সংশোধনী আনা হয়েছে। চাষিদের থেকে যাতে জমি কিনে নেওয়া যায়, সেজন্য সরকার চেষ্টা করছে। তারা চাষিদের দাস বানিয়ে রাখতে চায়। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে এই সংশোধনীর বিরোধিতা করব।”
শিবকুমার বলেন, তাঁর দল মনে করে, এই বিলে রাজ্যপালের সই করা উচিত নয়। তাঁর কথায়, “কংগ্রেস সব সময় চাষিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাষিদের জমি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন আইন করেছি। রাজ্যপাল যেন ওই বিলে সই না করেন।”
কর্নাটক বিধানসভার বাদল অধিবেশনে ৩০ টি বিল নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। বাস্তবে মাত্র ছ’টি বিল পেশ করা গিয়েছে। শনিবার কংগ্রেস চেয়েছিল, সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপরে শুনানি হোক। কংগ্রেসের অভিযোগ, ইয়েদুরাপ্পা সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। তাছাড় করোনা অতিমহামারী মোকাবিলায় সরকার চূড়ান্ত ব্যর্থ।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন কৃষক সংগঠনও জমি অধিগ্রহণ বিলে সংশোধনীর প্রতিবাদ করে পথে নেমেছে। আগামী সোমবার বন্ধের ডাক দিয়েছে তারা।