‘বিদ্যাসাগর ছিলেন সত্যিকারের বাংলার গর্ব যার অনুপ্রেরণা আজও আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। তাঁর নীতি এখনও আমাদের নিত্যদিনের পাথেয়।’ পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকীতে এভাবেই শ্রদ্ধা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনই আবার বিদ্যাসাগর অ্যাকাডেমির যাত্রা শুরু হচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফে এই অ্যাকাডেমি বিদ্যাসাগরের সৃষ্টিসমূহকে যথাযথ ভাবে সংরক্ষন ও বর্তমান পাঠ্যসূচীতে তাঁর অন্তর্ভুক্তিকরণের বিষয়টি দেখবে। থাকছে বিদ্যাসাগরকে নিয়ে গবেষণার সুযোগও।
উত্তর কলকাতার যে বাড়িতে বিদ্যাসাগর থাকতেন সেখানেই এই অ্যাকাদেমি তৈরির কাজই শুরু করা হচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমে সেই কাজ এদিন শুরু করবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যাসাগরের একটি পূর্ণাবয়ব ব্রোঞ্জের মূর্তি তৈরির বরাতও দিয়েছে শিল্পী গৌতম পালকে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার বিদ্যাসাগরের জন্মস্থল বীরসিংহে একটি উন্নয়ন পর্ষদ ও গঠন করতে চলেছে।
বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠানটি করার কথা ছিল বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার বীরসিংহ গ্রামে। সেখানে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু করোনার জন্য সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। তবে বীরসিংহ বঞ্চিত হচ্ছে না। রাজ্য সরকার জেলাশাসককে সামনে রেখে বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করতে চলেছে। এই পর্ষদ ওই এলাকায় রাস্তাঘাট, নিকাশি, পানীয়জল, নগরোন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়গুলি দেখবে। পরবর্তী কালে এই পর্ষদের অধীনেই ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা আসতে পারে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বিশেষ করে ঘাটাল, ক্ষীরপাই, খড়ার, রামজীবনপুর, চন্দ্রকোনা এই পাঁচটি পুরসভা এলাকা ও সংশ্লিষ্ট ব্লক ও গ্রামীণ এলাকা এই পর্ষদের অধীনে আসতে পারে। তবে আপাতত এই পর্ষদের কাজই হবে পাখির চোখে বীরসিংহের উন্নয়ন সাধন ঘটানো।