মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অদূরে অবস্থিত শাহি ইদগাহ সরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানিয়ে দায়ের হল দেওয়ানি মামলা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের তরফে মথুরা সিনিয়র ডিভিশনের সিভিল জাজের আদালতে সেই মামলা করা হয়েছে। মামলায় উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং শাহি ইদগাহ ট্রাস্টের পরিচালন সমিতির কমিটি বিবাদী পক্ষ হয়েছে।
রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী নামে লখনউয়ের এক বাসিন্দা এই মামলা দায়ের করেছেন। তাতে মন্দির চত্বরের ১৩.৩৭ একর জমি পুনরুদ্ধাদের দাবি জানানো হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান ট্রাস্টের অধীনে থাকা জমি জবরদখল করে কয়েকজন মুসিলেমর সাহায্যে সেখানে একটি কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে৷ আরও দাবি করা হয়েছে, ওই কাঠামোর নীচেই শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান রয়েছে, যা মন্দিরের ট্রাস্ট দেখাশোনা করত৷
শুধু তাই নয়, বিতর্কিত সম্পত্তির জন্য শাদি ইদগাহ ট্রাস্টের সঙ্গে মন্দিরের পরিচালনা পর্ষদ শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থান অবৈধভাবে আপস করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। আবেদনে জানানো হয়েছে, ‘দেবতা (শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান) এবং ভক্তদের স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করছে শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থান। শাহি ইদগাহ ট্রাস্ট্রের পরিচালন সমিতির কমিটির সঙ্গে জালিয়াতি করে ১৯৬৮ সালে দেবতা এবং ট্রাস্টের সম্পত্তির ভালোরকম অংশ আপস করেছে।’
শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থান এবং ট্রাস্টের মধ্যে আপস করার যে অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে ১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই রায় দিয়েছিলের মথুরার সিভিল জাজ। বর্তমান মামলায় ‘সেই রায় খারিজের’ আর্জি জানানো হয়েছে।
যদিও ১৯৯১ সালে পাশ হওয়া ধর্মীয় স্থানের আইনে (স্পেশাল প্রভিশন অ্যাক্ট) অনুযায়ী কোনও মন্দিরকে মসজিদে বদলে বা উল্টোটা করাও নিষিদ্ধ৷ একমাত্র অযোধ্যার রাম জন্মভূমির বিতর্কিত জমিটিকে এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছিল৷ অযোধ্যা মামলার রায় দেওয়ার সময়ও এই আইনের উল্লেখ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা৷ একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, অযোধ্যার রাম জন্মভূমির উদাহরণ দিয়ে অন্য কোনও মামলা গ্রহণ করা যাবে না৷