করোনার জেরে লকডাউনের সময় কাজ হারানো ক্ষুধার্তদের মুখে সামান্য অন্ন তুলে দিতে শহর কলকাতায় শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালু করেছিলেন যাদবপুরের কিছু মানুষ। সেই থেকে কিচেনের পথ পরিক্রমা হয়ে গিয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় হাওড়ার পর এবার বারাকপুরে এক স্পোর্টিং ক্লাব ও তৃণমূলের যৌথ উদ্যোগে চালু হচ্ছে স্বল্পমূল্যে একবেলা পেটভরে খাবারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। নাম তার – ‘দিদির রান্নাঘর’। আগামী একমাস এখানে মাত্র ৫ টাকাতেই মিলবে মধ্যাহ্নভোজ। বারাকপুরবাসীর কথায়, এ তো পুজোর উপহার!
সালকিয়া এলাকায় চলছে ‘মমতার মমতা’, আর বেলগাছিয়া এলাকার রান্নাঘরের নাম ‘মমতাময়ী মমতা’। দুটিতেই ১০ থেকে ২০ টাকা অর্থাৎ অতি স্বল্পমূল্যে মিলছে ভরপেট খাবার। মাছভাত কিংবা ডিমভাত – পেট ভরে খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন সকলেই। দিনের নির্দিষ্ট সময়ে এই কিচেনে চলে গেলে কাউকেই না খেয়ে ফিরতে হবে না। তবে বারাকপুরে তৈরি ‘দিদির রান্নাঘর’ একটু ভিন্ন। পয়লা অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর অর্থাৎ গোটা পুজোর মাসটিতেই এলাকার স্থানীয় দরিদ্র মানুষজনের অন্নের ভাবনা মুছে দিতে চালু করা হচ্ছে এই কমিউনিটি কিচেন। এখানে মাত্র ৫ টাকাতেই মিলবে ভরপেট মধ্যাহ্নভোজ।