১০০ দিনের কাজের খাতে সারা দেশে সব থেকে বেশি রোজগার তৈরির রেকর্ড গড়ল বাংলা। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাসিত রাজ্যেই ১০০ দিনের কাজে সৃষ্টি হয়েছে সব থেকে বেশি শ্রমদিবস৷ তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতা নন, সংসদে রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর৷ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ রাজ্যসভা সাংসদ মানস ভুঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি৷
সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের খাতে মজুরি দেওয়া হয়েছে ৭৫০১ কোটি টাকা, যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি৷ ২০১৭-১৮(৩১.২৫ কোটি) এবং ২০১৮-১৯(৩৩.৮২ কোটি), পরপর দু’টি বছরে রাজ্যে সব থেকে বেশি শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে বলেও রাজ্যসভায় জানিয়েছেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী৷
রাজ্যের এই সাফল্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মানস ভুঁইয়া প্রথমেই টেনে এনেছেন কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও রাজনৈতিক সমালোচনার প্রসঙ্গ৷ তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের শত বঞ্চনার পরেও গত ছ’বছরে রাজ্যে কোনও কৃষক আত্মহত্যা করেননি, মোদী সরকারের দেওয়া এই পরিসংখ্যান দেখে যাঁরা চমকে উঠেছিলেন, তাঁদের কফিনে শেষ পেরেক হলো কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর তুলে ধরা এই তথ্য৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে কৃষকদের সমান মর্যাদা দেওয়া হয় শ্রমিক ভাই-বোনদের৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে এখানে সব কিছুর দেখভাল করেন৷ তাই এখানে দেখা যায় প্রকৃত উন্নয়ন৷ এই কারণেই সারা দেশের মধ্যে আমাদের রাজ্যে সব থেকে বেশি শ্রমদিবস তৈরি হয়, সব থেকে বেশি মজুরিও পান শ্রমিক ভাই-বোনেরা৷ আমার মনে হয়, রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে অবিলম্বে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির উচিত হবে বাংলার থেকে সামগ্রিক উন্নয়নের শিক্ষা নেওয়া৷ তাতে আখেরে গোটা দেশ লাভবান হবে, ভারতের সার্বিক বিকাশ ত্বরান্বিত হবে৷’